Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নিম্নমানের রাস্তা তৈরির নালিশ, বাধা কাঁকসায়

গোপালপুর পঞ্চায়েতের গোঁসাইডাঙা গ্রামে এডিডিএ-র তরফে ১৩৪২ মিটার ঢালাই রাস্তার জন্য প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্গাপুরের এক ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে। ৪ অগস্ট থেকে কাজ শুরু হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, কাজ শুরুর আগে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়, দশ ফুট চওড়া ও চার ইঞ্চি উঁচু রাস্তা হবে।

ক্ষোভ: গোপালপুরে জমায়েত বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

ক্ষোভ: গোপালপুরে জমায়েত বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৪০
Share: Save:

গ্রামে পাকা রাস্তার জন্য বারবার দরবার করা হয়েছিল প্রশাসনের কাছে। অবশেষে রাস্তার অনুমোদন মিললেও নিম্নমানের কাজের অভিযোগে রাস্তা তৈরি বন্ধ করে দিলেন এক দল গ্রামবাসী। কাঁকসার গোপালপুরের গোঁসাইডাঙা আদবাসী গ্রামে সোমবার ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা কাজ করতে এলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানো হবে বলে আশ্বাস প্রশাসনের।

গোপালপুর পঞ্চায়েতের গোঁসাইডাঙা গ্রামে এডিডিএ-র তরফে ১৩৪২ মিটার ঢালাই রাস্তার জন্য প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্গাপুরের এক ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে। ৪ অগস্ট থেকে কাজ শুরু হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, কাজ শুরুর আগে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়, দশ ফুট চওড়া ও চার ইঞ্চি উঁচু রাস্তা হবে। অভিযোগ, কাজ শুরুর পরে দেখা যায়, কোথাও তিন ইঞ্চি, কোথাও তার একটু বেশি উঁচু ঢালাই হচ্ছে। চওড়া হচ্ছে ৯ ফুট। সে কারণেই কাজ বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসী সুমাই হাঁসদা, চণ্ডী সোরেনদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, ঢালাই করার আগে রাস্তার উপরে বালি বা মোরামও দেওয়া হচ্ছে না, যা নির্দেশিকায় রয়েছে। এডিডিএ যে ভাবে নির্দেশিকা দিয়েছে, সে ভাবেই রাস্তা করতে হবে বলে গ্রামবাসীদের দাবি।

দিন কয়েক বন্ধ থাকার পর সোমবার ফের ঠিকাদারের লোকজন রাস্তার কাজ করতে যান। তখন বাসিন্দারা ফের বাধা দেন। তাঁরা জানান, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গ্রামে এসে রাস্তার পরিস্থিতি দেখতে হবে বলে তাঁদের দাবি। রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় গোপালপুরের কয়েকজন তৃণমূল নেতা হুমকিও দিচ্ছেন বলে গ্রামবাসীদের কয়েকজনের অভিযোগ।

বাধা পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময়ে ঠিকাদার সংস্থার এক কর্মী অবশ্য বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছিল। কিন্তু কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জিনিসপত্র অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, সমস্যার কথা তিনি শুনেছেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে তা মিটিয়ে ফেলা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE