ডিএসপি-র শিক্ষানবীশ কর্মীদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবিতে দিনভর হাসপাতাল থেকে সহকর্মীর দেহ বের করতে দিলেন না ডিএসপি-র শ’খানেক শিক্ষানবীশ কর্মী। দুর্গাপুরে বিধাননগরে বেসরকারি হাসপাতালের সামনে পোস্টার হাতে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন তাঁরা। সন্ধ্যায় সেলের চেয়ারম্যান সিএস বর্মা হাসপাতালে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে রাত পর্যন্ত দেহ বের করতে দেওয়া হয়নি।
ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কারখানায় গলিত লোহা ছিটকে জখম হন আধিকারিক রোহিত কুমার, কর্মী রঞ্জিৎ ঘোষ এবং শিক্ষানবীশ দীপক দলুই (২০)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দীপকের মৃত্যু হয়। তাঁর সহকর্মীরা সোমবারই প্রশিক্ষণ স্কুলের সামনে বিক্ষোভ-ধর্না করেছিলেন। বুধবার সকালে তাঁরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান শুরু করেন। তাঁদের দাবি, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং মৃতের পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি না মেলা পর্যন্ত তাঁরা সরবেন না। পুলিশ এলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
এ দিন দুর্গাপুরে আসেন সেলের চেয়ারম্যান। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বেসরকারি হাসপাতালে জখম দু’জনকে দেখতে যান তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন বিক্ষোভকারীরা। হাসপাতাল ছেড়ে বেরোনোর সময়ে চেয়ারম্যান জানান, তিনি আহত দু’জনকে দেখেছেন। কথা বলেছেন এক জনের সঙ্গে। কী ভাবে সে দিন দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা শুনেছেন। চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। আহতদের চিকিৎসার খরচ সেল বহন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। মৃতের পরিবারকে চাকরি ও ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ যাতে দেওয়া যায় তা নিয়ে বোর্ডের সভায় আলোচনা হবে। তবে তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
কারখানায় শ্রমিক সংগঠনগুলিও একই দাবিতে এ দিন আন্দোলন করে। সিটু নেতা বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএনটিইউসি-র দেবাশিস চৌধুরীদের দাবি, ডিএসপি কর্তৃপক্ষ চাকরির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেননি। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এবং চাকরির নিশ্চয়তা না মেলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy