নসরতপুরে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র
রাস্তা তৈরির হিসাবের খতিয়ান দিয়ে ফলক তৈরি করা হয়েছে। অথচ, রাস্তাটিই তৈরি হয়নি— এই অভিযোগে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন এক দল বাসিন্দা।
এ দিন পঞ্চায়েতের হাটসিমলা এলাকার ৮৫ এবং ৮৬ নম্বর বুথের ওই বাসিন্দারা দাবি করেন, পঞ্চায়েত প্রধান সীমা মণ্ডল যে বুথ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানেই একটি রাস্তা তৈরি করার কথা ছিল। একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তাপস দাসের বাড়ি থেকে মালা সরকারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা হওয়ার কথা। কংক্রিটের রাস্তাটি তৈরির জন্য ৩,৪৯,৬৯৯ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়। প্রকল্পের ‘কোড নম্বর’-সহ নানা বিবরণ দিয়ে পঞ্চায়েতের তরফে ফলক দেওয়া হয়েছে। অথচ, রাস্তাটির কাজই শুরু করেনি পঞ্চায়েত, অভিযোগ ওই বাসিন্দাদের।
এ দিন বিক্ষোভে যোগ দেওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। ‘রাস্তার টাকা কোথায় গেল’ স্লোগান দিয়ে পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তাটি তৈরি না হওয়ায় বর্ষায় স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বিক্ষোভকারী শম্পারানি বসাক, অঞ্জলি বসাক, কৃষ্ণ দাস, নিতাই বসাকদের কথায়, ‘‘বছরখানেক আগে এক বার রাস্তাটি তৈরির জন্য বালি ফেলা হয়। তার পরে যত বার এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার কাজ এগোচ্ছে না কেন জানতে পঞ্চায়েতে গিয়েছেন, আমল দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’’
যদিও পঞ্চায়েতের তরফে এ দিন আশ্বাস দেওয়া হয়, দিন দশেকের মধ্যে রাস্তাটি তৈরির কাজ শুরু করা হবে। প্রধানের সঙ্গে এ দিন বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। জবাব মেলেনি মেসেজেরও। পঞ্চায়েত সমিতির স্থানীয় সদস্য তথা তৃণমূল নেতা বিকাশ বসাক দাবি করেন, ‘‘ঘটনার সময়ে আমি পঞ্চায়েতে ছিলাম। আসলে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে রাস্তা তৈরির জন্য ছ’ফুট চওড়া জায়গা প্রয়োজন হয়। ওই এলাকায় রাস্তাটি কোথাও ৩ ফুট, কোথাও সাড়ে ৩ ফুট। এর ফলে, পঞ্চায়েত ওই প্রকল্পে রাস্তাটি তৈরি করতে পারেনি।’’
বিকাশবাবুর আরও দাবি, পঞ্চায়েত রাস্তাটি চতুর্দশ অর্থ কমিশনের অর্থে তৈরি করবে। তার আগে আজ, বুধবার বালি এবং রাবিশ ফেলে রাস্তা সাময়িক ভাবে মেরামত করা হবে। পরে ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্য নিয়ে কংক্রিটের রাস্তা তৈরি হবে। পঞ্চায়েত সূত্রের দাবি, রাস্তার কাজ হবে ধরে নিয়ে ফলকটি তৈরি করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy