ছবি: সংগৃহীত।
কেউ আবেদন করার পরে ডিজিট্যাল রেশন কার্ড পাননি, কারও হাতে কার্ড থাকলেও খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন না—এ রকম একাধিক অভিযোগ নিয়ে সোমবার সকাল থেকে বর্ধমান স্টেশন লাগোয়া জেলা খাদ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন শহর ও লাগোয়া এলাকার বেশ কিছু উপভোক্তা। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। খাদ্য ভবনের সামনে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে বলে বর্ধমান থানা সূত্রে জানা যায়।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘রেশন প্রক্রিয়ার বাইরে কোনও দুঃস্থ মানুষ থাকলে তাঁরাও সরকারের ত্রাণ পাবেন।’’ সে ক্ষেত্রে পুরসভা বা ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মাধ্যমে ‘স্লিপ’ নিতে হবে।
বিক্ষোভকারী দেবরাজ বসাকের অভিযোগ, “ডিজিটাল কার্ড থাকার পরেও গত ছ’মাস ধরে রেশন পাচ্ছি না। ডিলার বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এত দিন কাজের মধ্যে থাকতাম বলে রেশনের চাহিদাও ছিল না। এখন কাজ নেই। খাবার চিন্তায় পাগল হওয়ার জোগাড়। কেন রেশন পাব না জানতে চাইছি, কেউ কিছু বলতে পারছে না।’’ আর এক বৃদ্ধারও অভিযোগ, “আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। কোনও রকমে কাজ করে খাবার জোগাড় করতাম। এখন বিনামূল্যে চাল-আটা না পেলে খাবার অভাবেই মরতে হবে।’’ বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের কথা কেউ শুনছেন না। রেশন ডিলার থেকে খাদ্য দফতর সবাই তাঁদের বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই, অথচ আবেদন করেছেন এমন ২,৯২,৬১৪ জন উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি ‘ফুড কুপন’ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্লক থেকে খাদ্য দফতরে তার রিপোর্ট এসেছে। যদিও পুরসভাগুলি ‘ফুড কুপন’ দিতে বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছে কি না, তার রিপোর্ট এখনও পায়নি খাদ্য দফতর। ‘ফুড কুপন’-এর উপভোক্তাদের জন্য জেলায় অতিরিক্ত ৩২০ টন চাল ও ৪৭০ টন আটার প্রয়োজন বলেও জানা গিয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ামক আবির বালির আশ্বাস, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কুপন বিলি করা হবে। খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে জেলায় পাঁচ জন রেশন ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। এক জনকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে, বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy