পোড়া পতাকা। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি ও সিপিএমের পতাকা পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে কাঁকসার সিংপাড়া এলাকার ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। তবে তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এলাকায় বিজেপি বেশ কিছু পতাকা টাঙিয়েছিল। এর মধ্যে একটি বড় বাঁশে পতাকা টাঙানো ছিল। বিজেপি কর্মীদের একাংশ জানান, এ দিন সকালে দেখা যায়, বাঁশে লাগানো পতাকাটি আধপোড়া অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। আশপাশে টাঙানো পতাকাগুলিও উধাও। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা রমন শর্মা অভিযোগ, ‘‘উপনির্বাচনে তৃণমূল ভাল ফল করার পরে থেকেই কাঁকসার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দিন দুয়েক আগে বনকাটি পঞ্চায়েত এলাকায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনে বোমাবাজিও করা হয়। এ দিন তৃণমূল আমাদের পতাকা পুড়িয়েছে। পুলিশে অভিযোগ করেছি।’’
কিন্তু এই এলাকাতেই এমন ‘আক্রোশ’ কেন, তারও ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি নেতা, কর্মীরা জানান, গলসি বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথ এলাকা কাঁকসার সিংপাড়া। গত লোকসভা ভোটে এই বুথে বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিএমের ভোটপ্রাপ্তি ছিল যথাক্রমে ২৯১টি, ১১১টি ও ৪০টি। বিজেপির দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় তাদের সংগঠন বেশ মজবুত। সেই মজবুত সংগঠনে ‘ধাক্কা’ দিতেই তৃণমূল পরিকল্পনা করে এমনটা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। পতাকা পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন কাঁকসার সিংপাড়া এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলও করে বিজেপি। মিছিলটি কাঁকসার মাধবমাঠ, সিংপাড়া এলাকা পরিক্রমা করে।
বিজেপির পতাকার পাশেই গাছে টাঙানো ছিল সিপিএমের একটি পতাকাও। সেটিও আগুনে পোড়ানো হয়েছে বলে সিপিএমের অভিযোগ। কাঁকসার সিপিএম নেতা দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘কোনও দলের পতাকা পুড়িয়ে দেওয়াটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল নয়। প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে ঠিক মতো তদন্ত করার জন্য দাবি জানিয়েছি।’’
যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কাঁকসার তৃণমূল নেতা দেবদাস বক্সীর বক্তব্য, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। নিজেরাই এমনটা ঘটিয়ে অপপ্রচার করছে বিজেপি।’’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy