Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বরাকর বাসস্ট্যান্ডে দুষ্কর্মের নালিশ

কুলটি থানা এলাকায় বরাকর বাসস্ট্যান্ডটি রয়েছে ঝাড়খণ্ড সীমানার কাছে।

বরাকর বাসস্ট্যান্ডে ঝুপড়িগুলি নিয়ে উঠেছে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

বরাকর বাসস্ট্যান্ডে ঝুপড়িগুলি নিয়ে উঠেছে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০০:১৮
Share: Save:

যাত্রীদের অপেক্ষা করার জায়গা ঘেরা হয়েছে চাটাই, টিন ও পলিথিনে। সেখানে নানা অসামাজিক কাজকর্মের আসর বসছে নিয়মিত, বরাকর বাসস্ট্যান্ডে এমন অভিযোগ তুলছেন যাত্রী ও এলাকাবাসীর একাংশ। তাঁদের দাবি, দিনের আলোয় সাট্টা-জুয়া-মদের ঠেক চলছে, প্রতিবাদ করলে শুনতে হচ্ছে হুমকি। পুলিশকে জানিয়েও ফল হচ্ছে না, দাবি তাঁদের। তবে পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকেরা জানান, বিষয়টি নিয়ে বিশদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

কুলটি থানা এলাকায় বরাকর বাসস্ট্যান্ডটি রয়েছে ঝাড়খণ্ড সীমানার কাছে। দু’রাজ্যের বহু বাসিন্দা যাতায়াতের জন্য নিয়মিত এই বাসস্ট্যান্ড ব্যবহার করেন। কয়েক হাজার যানবাহন নিত্য যাতায়াত করে। আন্তঃরাজ্য সীমানায় এই বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের জন্য তৈরি ছাউনি দখল করে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ আশপাশের বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, সুপারফাস্ট স্ট্যান্ডের যাত্রী-ছাউনিটি চাটাই দিয়ে ঘিরে মদ বিক্রি হয়। সামান্য এগিয়ে আর একটি যাত্রী-ছাউনি দখল করে হোটেলের আড়ালে চলে মদ-গাঁজার ঠেক। মিনিবাস স্ট্যান্ডটির লম্বা ছাউনির তলায় সাট্টা-জুয়ার আসর বসে বলেও অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, দিনের আলোয় কিছুটা কম থাকলেও রাতে রমরমিয়ে চলে এ সব কারবার। তাঁদের দাবি, বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের গাড়ি দেখা গেলেও তাদের বিশেষ ভূমিকা নিতে দেখা যায় না। বরাকর বাসস্ট্যান্ডের এই পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি ওই এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বাসিন্দাদের কাছে বাসস্ট্যান্ডে অসামাজিক কাজ-কারবারের অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বরেও বরাকর বাসস্ট্যান্ডে এই অসামাজিক কারবার নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানান তৃণমূলের কুলটি ব্লক সভাপতি মহেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি পুলিশের আধিকারিকেরা। তাঁদের দাবি, মাঝে-মাঝেই অভিযান চালানো হয়। সম্প্রতি একটি গাঁজা পাচারকারী চক্রকে বমাল ধরাও হয়েছে। কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘বিশদে খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE