আহত সুদীপ্তবাবু। নিজস্ব চিত্র
দলীয় কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আউশগ্রামের উক্তা পঞ্চায়েত এলাকার কল্যাণপুরের ঘটনা। সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় নামে ওই বিজেপি নেতার সঙ্গে থাকা দুই কর্মীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উক্তা পঞ্চায়তের গলিগ্রামের বাসিন্দা সুদীপ্তবাবু বিজেপির আউশগ্রামের ৫৪ নম্বর মণ্ডল কমিটির সম্পাদক। সুনীল মাঝি ও পারভেজ আলম নামে দুই দলীয় কর্মীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘গৃহসম্পর্ক অভিযান’-এ কল্যাণপুর গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। সুদীপ্তবাবুর অভিযোগ, ওই গ্রামের ঘোষপাড়ায় তাপস ঘোষের বাড়ি থেকে দলের কর্মসূচি সেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ একটি মোটরবাইকে তিন জন মিলে ফিরছিলেন। আচমকা কল্যাণপুর তেমাথা মোড়ে তৃণমূলের জনা তিরিশেক দুষ্কৃতী তাঁদের আটকে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। পরে সেখান থেকে একটু দূরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সুদীপ্তবাবু ও পারভেজকে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ফের আর এক দফা মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
সুদীপ্তবাবু বলেন, ‘‘এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়েছে। গলায় পা দিয়ে আটকে রেখেছিল। খুন করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।’’ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে, তাঁদের উদ্ধার করে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। রাতেই মৌখিক ভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। এ দিন স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি-সহ ন’জনের নামে আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি সুরজ শেখ অভিযোগ মানেননি। আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ সালেক রহমানের দাবি, ‘‘বিজেপির অন্তর্কলহের জেরে একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।’’
বিজেপির জেলা সম্পাদক তথা আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক শ্যামল রায়ের দাবি, ‘‘গৃহসম্পর্ক অভিযানে এলাকায় ভাল সাড়া মিলতেই দলের উপরে হামলা হচ্ছে। আউশগামের কল্যাণপুরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সুরজের নেতৃত্বে সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়কে রাস্তায় এবং পার্টি অফিসের মধ্যে বেধড়ক মারধোর করা হয়। পরে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতারা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে আনেন। আশা করি, পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy