খুশি: বন্ধুকে মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছে মনিশঙ্খ। নিজস্ব চিত্র।
জন্মদিন মানেই বন্ধুদের সঙ্গে কেক কাটা, খাওয়াদাওয়া। তবে বাড়িতে আলাদা ভাবে নয়, স্কুলে মিড-ডে মিলের বন্ধুদের সঙ্গেই সে আনন্দ ভাগ করে নিল দ্বিতীয় শ্রেণির মনিশঙ্খ দাস। কাটোয়ার ঘোড়ানাশের ওই খুদেকে জন্মদিনের শুভেজ্জা জানাতে হাজির ছিলেন বিডিও।
রবিবার ছিল মনিশঙ্খের আট বছরের জন্মদিন। সোমবার স্কুলের ১৮ পড়ুয়ার সঙ্গে জন্মদিন পালন করে সে। নাতির জন্মদিনের আনন্দ সবার সঙ্গে এ ভাবে ভাগ করে নেওয়ার উদ্যোগ অমৃতগোপাল সাহার। তিনি নিজেও ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক। ভাত, ডাল, আলুপোস্ত, মাংস, চাটনি, মিষ্টি খাওয়ানো হয়। বন্ধুদের নিজের হাতে রসগোল্লা খাইয়ে দেয় মনিশঙ্খ। কেক কাটা, পায়েস খাওয়া সবটাই হয় স্কুলে।
কাটোয়া ২-এর বিডিও শিবাশিস সরকার জানান, এলাকার কারোও বিশেষ দিন, যেমন জন্মদিন, বিয়ে, অন্নপ্রাশন থাকলে স্থানীয় স্কুলের মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের খাওয়ানোর উদ্যোগ করা হয়েছে। মাস খানেক ধরে এই ব্লকের পোস্টগ্রাম, শিলা, মুলটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন আয়োজন হয়েছে।
শিবাশিসবাবুর কথায়, ‘‘অনেক সময়েই দেখা যায় স্কুলে যে দিন ডিম দেওয়া হয় সে দিন পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি হয়। ভাল খাবারের টানে এখনও অনেকেই স্কুলে আসে। কাজেই এলাকার অনুষ্ঠানে যদি স্কুলেও পাত পড়ে তাহলে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে।’’ এমন অনুষ্ঠানে স্কুলকে সামিল করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের আহ্বান জানান তিনি। সহযোগিতা করতে বলা হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও।
ঘোড়ানাশ প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক রামচন্দ্র দাস জানান, সপ্তাহে শুধু বুধবারই পড়ুয়াদের ডিম খাওয়ানো হয়। বাকি দিন সব্জি-ভাতই দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘মাঝেসাঝে এরকম অনুষ্ঠান হলে ওদেরও স্বাদবদল হয়।’’ এক বন্ধুকে রসগোল্লা খাইয়ে দিতে গিতে মনিশঙ্খ বলে, ‘‘এ ভাবেই প্রতিবছর জন্মদিন পালন করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy