Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সার ‘উধাও’ নিয়ে সরব সব পক্ষই

পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ১ ব্লকের ‘গোপগন্তার কো-অপারেটিভ অ্যাগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি’ থেকে প্রায় ন’লক্ষ টাকা মূল্যের ন’শো বস্তা সার ‘উধাও’-এর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন কর্তারা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেমারি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০০:১৬
Share: Save:

সমবায় সমিতির সার-কেলেঙ্কারি নিয়ে সরব হলেন বিরোধীরা। শুক্রবার বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল ওই সমিতিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। সমবায় কর্তাদেরকে ফোন করেও ঠিকঠাক তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। সিপিএমের তরফেও প্রশাসনের কাছে তদন্তে দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সামনে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে কার্যকরী বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে ফের আলোচনা করা হবে।

পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ১ ব্লকের ‘গোপগন্তার কো-অপারেটিভ অ্যাগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি’ থেকে প্রায় ন’লক্ষ টাকা মূল্যের ন’শো বস্তা সার ‘উধাও’-এর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন কর্তারা। জানা গিয়েছে, ‘বর্ধমান সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ অ্যাগ্রিকালচার প্রোডাকশন অ্যান্ড মার্কেটিং সোসাইটি’ (শান্তিরঞ্জন বলে পরিচিত) থেকে ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর ধারে ৬৮০০ বস্তা রাসায়নিক সার কিনেছিল ওই সমবায়। বোহারের একটি সংস্থাকে ওই সার বিক্রি করা হয়। ২০১৮ সালের মে মাসে ওই সংস্থা জানায় ৬৮০০ নয়, ৫৯০০ বস্তা সার কেনা হয়েছে। আলাপ আলোচনার পরে সমবায়ের প্রাক্তন সম্পাদক প্রবীর রায়কে ‘দায়ী’ করে সমবায় সমিতির তরফে দু’বার শো-কজ করা হয়। দু’বারই সার কেনায় তাঁর ভূমিকা নেই বলে জানান তিনি।

গোপগন্তার সমবায় সমিতি সূত্রে জানা যায়, সমবায় আইন অনুযায়ী, যে কোনও তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্তকে দু’বার শো-কজ় করা যায়। জবাবে সন্তুষ্ট না-হলে দফতর তদন্ত করে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে, আইনের রাস্তায় হাঁটা যায়। এ ক্ষেত্রে সমবায় দফতর তদন্ত করে ফেলেছে, কিন্তু এখনও রিপোর্ট আসেনি বলে পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারছে না সমিতি।

ঘটনায় সামনে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। জেলা পরিষদের ডেপুটি মেন্টর তথা মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক আবু হাসেম মণ্ডলের দাবি, “ওই সমবায় সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এক জন দু’টি সমিতির ‘নিয়ন্ত্রক’। সার-কেলেঙ্কারিতে ওই দু’টি সমিতিই জড়িয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সমবায় মন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হবে।’’ বর্তমান বিধায়ক নার্গিস বেগমও বলেন, “আইনের পথেই এই সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করছি।’’ অভিযোগের তির যাঁর দিকে, তৃণমূলের সেই মেমারি ১ ব্লক সভাপতি তথা গোপগন্তার সমবায় সমিতির মনোনীত সদস্য ও শান্তিরঞ্জনের চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, “পুরো বিষয়টি দেখে মনে হচ্ছে, এক জনকেই লক্ষ্য করা হচ্ছে। আমি জেলা কমিটির হস্তক্ষেপ চেয়েছি।’’

বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য, আইনজীবী ভীষ্মদেব ভট্টাচার্যেরও দাবি, “ভয়ঙ্কর ঘটনা! দ্রুত আইনের রাস্তায় যাওয়ার জন্যে সমিতিকে চাপ দিয়েছি। সমবায় কর্তাকেও ফোন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE