ময়না-তদন্তের আগেই মৃতদেহ গায়েবের অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অন্য রোগীদের দাবি, পরিজনেরাই তুলে নিয়ে গিয়েছেন ওই মহিলার দেহ। ভরা হাসপাতালে রক্ষী, কর্মী-নার্সদের সামনে দিয়ে এক জন রোগীকে বের করে নেওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও।
বর্ধমান মেডিক্যাল সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডে ভর্তি হন মেমারি থানার চাঁচাই এলাকার বাসিন্দা আরতি মাঝি। বাড়িতেই ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। মৃত্যু অস্বাভাবিক হওয়ায় তাঁর দেহের ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা ছিল। হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে সেই মতো রিপোর্টও হয়। মারা যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক পরে নিয়ম মেনে ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে ময়না-তদন্তের কাগজপত্রও পৌঁছয়। কিন্তু মর্গে পাঠানোর আগে দেহ নিতে গেলে দেখা যায় তা উধাও। দেখা নেই পরিজনেদেরও। এরপরেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানানো হয়। খবর দেওয়া হয় জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও।
হাসপাতালের কর্মীদের দাবি, ওই ওয়ার্ডের ৮ নম্বর ঘরের শেষ শয্যায় ভর্তি ছিলেন আরতিদেবী। ঘরের অন্য রোগীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ওই মহিলার মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আত্মীয় স্বজনেরা দেহ তুলে নিয়ে চলে যান। কিন্তু কর্তব্যরত নার্স, চিকিৎসক, কর্মী এমনকি হাসপাতালের গেটে সবসময় বহাল নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে কী ভাবে দেহ নিয়ে বেরোলেন তাঁরা, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। মুখ খুলতে চাননি নার্স, কর্মীরাও।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা জানান, পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওই রাতে ডিউটিতে থাকা নিরাপত্তাকর্মী থেকে শুরু করে সিস্টার সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাকে চিঠি দিয়ে শো-কজ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy