রায়নার হিজলনায় রাস্তার কাজ দেখছেন দেবু টুডু। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
‘বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা’র কাজের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের কর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়ে এক সপ্তাহ পরে, পুনমূর্ল্যায়ন হবে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলবারের ‘ভার্চুয়াল’ প্রশাসনিক বৈঠকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাস্তার কাজের হাল দেখতে পরিদর্শনে নামলেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা তৈরি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন। কোথায় কাজ আটকে রয়েছে, কেন এগোচ্ছে না— সব সরেজমিন দেখা হবে। সাত দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী দফতরকে বিশদে জানানো হবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এর মধ্যেই ওই প্রকল্পে পূর্ব বর্ধমানকে আরও ১৫০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের নেতৃত্বে জেলা-বাস্তুকার, ‘রাজ্য সড়ক উন্নয়ন সংস্থা’র (এসআরডিএ) ইঞ্জিনিয়ারেরা আলোচনা করে কোন কোন রাস্তাকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে, তার প্রস্তাব পঞ্চায়েত দফতরে পাঠাবেন। সেখানে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে রাস্তা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবে এসআরডিএ বিভাগ। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সবাই মিলে আলোচনা করে রাস্তা তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ‘বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনার’ কাজ করে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে থাকা এসআরডিএ। বুধবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানান, প্রকল্পটির সব কাজ কলকাতার অফিস থেকে হয়। ওই বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ দাবি করেন, এক-একটি রাস্তার কাজের জন্য ১৮ মাস সময় থাকে। সেই হিসেবে, প্রতিটি কাজের জন্য এখনও ১১ মাস সময় আছে ঠিকাদারদের হাতে। তা ছাড়া, লকডাউন শেষের পরেই বর্ষা নামায় কাজে গতি আসছে না।
বৃহস্পতিবার এসআরডিএ-র বর্ধমান দফতর থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, রায়নার বাঁধাগাছা থেকে জামালপুরের ফতেরপুরের ৩৯ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে এসআরডিএ এখনও পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটারের জমি পেয়েছে। জমি পাওয়া জায়গায় রাস্তা তৈরির জন্য পাথর ফেলা চলছে। চারটি রাস্তার ক্ষেত্রে পাথর ফেলার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বর্ষার পরেই পিচের প্রলেপ দেওয়া হবে। এ ছাড়া, তিনটি রাস্তার ক্ষেত্রে অর্ধেক কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি রাস্তায় পাথর ফেলা চলছে বলে জানানো হয়েছে। কালনার বৈদ্যপুর রথতলা থেকে মাতিশ্বর পর্যন্ত ৯.৮ কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় পাথরের কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি ৪.৮ কিলোমিটার রাস্তা পূর্ত দফতরের বলে জানানো হয়েছে।
এ দিন দেবুবাবুর সঙ্গে এসআরডিএ-র ইঞ্জিনিয়ার, বিধায়ক (রায়না) নেপাল ঘোড়ুই ও রায়না ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা হিজলনার কাছে ৩৯ কিলোমিটার রাস্তা পরিদর্শন করেন। দেবুবাবু বলেন, ‘‘এসআরডিএ যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, সে সব রাস্তা আমাদের নজরে থাকবে। জমির সমস্যা মেটাতে বলা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শেষ করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy