প্রতীকী ছবি।
সামনের সারিতে থেকে করোনা রুখতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু দমে যাননি। বরং অন্যদের লড়াই করার সাহস জুগিয়েছেন। জেলার এমন ২৫ জন ‘করোনা-যোদ্ধা’কে বেছে নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আজ, শনিবার, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁদের সংবর্ধনা দেবে জেলা প্রশাসন। জেলা পুলিশের তরফেও ২০ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে করোনা-যোদ্ধাদের মেডেল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বার স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে পতাকা উত্তোলন ও সংবর্ধনা দিয়ে আধ ঘণ্টারও কম সময়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান করা হবে। যোদ্ধাদের তালিকায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তিন জুনিয়র চিকিৎসক-সহ জেলার ১১ জন চিকিৎসক, চার জন নার্স, সাফাইকর্মী, সুইপার ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছ’জন, তিন জন টেকনিশিয়ান ও এক জন আশাকর্মী রয়েছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, “প্রথম সারির করোনা-যোদ্ধারা সংক্রমিত হয়েছিলেন। এখন সুস্থ হয়ে ফের কাজে যোগ দিচ্ছেন। পরে ব্লক স্তরেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে।’’
জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন কালনা ১ ব্লকের বাঘনাপড়া পঞ্চায়েতের ফড়িংগাছি গ্রামের আশাকর্মী সুজাতা ভৌমিক। তিনি জানান, পরিযায়ীদের উপর লক্ষ্য রাখা, নিভৃতবাস কেন্দ্রে যাওয়া, ‘হোম আইসোলেশনে’ থাকা করোনা-আক্রান্তদের উপরে নজর রাখার কাজ করতে হয়েছে। স্বাস্থ্য-বিধি মেনে বাড়িতে থাকার বার্তা দিতে প্রতিদিন ৪০-৪৫টি বাড়ি ঘুরেছেন তিনি। নিজেও আক্রান্ত হন। শুক্রবার তিনি বলেন, “বাড়িতে বসেও পরিযায়ীদের খোঁজ নিয়েছি। উপসর্গ রয়েছে এমন মানুষদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।’’
চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী সবাই মনে করছেন, আক্রান্ত হওয়ার পরেও তাঁদের ‘যুদ্ধ’ শেষ হয়নি। বরং তাঁরা আরও মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আক্রান্তদের সেবা করতে পারছেন। পুলিশের পাশাপাশি, দিনরাত এক করে সিভিক ভলান্টিয়ারেরাও কাজ করেছেন। এ দিন গোলাপবাগ ট্রাফিক পোস্টে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়, ডিএসপি শৌভিক পাত্র, ট্রাফিক ওসি সুদীপ্ত নন্দী তাঁদের ১৫ জনকে সম্মান জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy