—ফাইল চিত্র।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। কিন্তু পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঠিক কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব মিলছে না। জেলার দাবি, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানে ২৭ জন করোনা-আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকারের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। দু’রকম তথ্য মেলায় মানুষজনের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে প্রশাসনেরই একাংশ। বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দিয়েছে। তবে তথ্য-বিভ্রান্তির অভিযোগ মানছে না রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
জেলা থেকে দেওয়া করোনা-আক্রান্তের সংখ্যার থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেওয়া সংখ্যা বেশি প্রথম থেকেই। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,২২৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৬০ জন। ‘অ্যাক্টিভ’ রোগীর সংখ্যা ৩৩৯ জন। কিন্তু সেখানে রাজ্যের বুলেটিন জানাচ্ছে, পূর্ব বর্ধমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩৫৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৯৪ জন। ‘অ্যাক্টিভ’ রোগী ৫৫৫ জন।
পূর্ব বর্ধমানে মাসখানেক আগে প্রথম করোনা-আক্রান্তের মৃত্যুর খবর মেলে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই এক বা একাধিক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেখানে রাজ্য বুলেটিন অনুযায়ী, ২৩ জুলাই থেকে ৩ অগস্টের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়ে।
তথ্যে ফারাকের কারণ কী? জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতীর মন্তব্য, “যা বলার, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বলতে পারবে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায়ের বক্তব্য, “এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রের মতে, রাজ্য বুলেটিনে মৃত্যুর সংখ্যা সম্ভবত অনেকগুলি বিষয় মাথায় রেখে দেখানো হচ্ছে। মৃত্যুর পরে করোনা-রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ হলে, তা বুলেটিনে তোলা হচ্ছে না। আবার ‘সারি’ ওয়ার্ডে সংক্রমিত হয়ে কারও মৃত্যু হলেও বুলেটিনে সে তথ্য থাকছে না। একমাত্র ‘কোভিড’-হাসপাতালে মারা গেলে তবেই বুলেটিনে তা প্রকাশ হচ্ছে।
চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের (সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাসের অভিযোগ, “প্রকৃত তথ্য চাপার যে প্রক্রিয়া গোড়া থেকে চলছে, এতে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।’’ তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “জেলা থেকে যে তথ্য আসছে, সেটাই বুলেটিনে প্রকাশিত হচ্ছে।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy