Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

নাবালিকাকে বিয়ে, অভিযুক্ত কাউন্সিলর

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, স্কুল থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পেয়েছিল মেয়েটি। দাঁইহাটের আর এক সিপিএম কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান বিদ্যুৎবরণ ভক্ত বলেন, ‘‘শুনেছি, বিয়েতে মেয়েটির মত রয়েছে। তার আঠারো বছর বয়স হওয়ার পরে ওরা সংসার করুক।’’ 

নিজস্ব সংবাদদাতা
দাঁইহাট শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠল এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। দাঁইহাটের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল পলাতক বলে জানায় পুলিশ। নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ-প্রশাসন।

বছর চল্লিশের কার্তিকের বাড়ি দাঁইহাটের লেক গার্ডেন্সে। অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এলাকার এক মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন বেড়া সিদ্ধেশ্বরীতলার বছর ষোলোর এক ছাত্রীকে। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইল্ডলাইনের ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। এর পরেই পুলিশ ও কাটোয়া ২ ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে কার্তিকের বাড়ি যান চাইল্ডলাইনের কাটোয়ার প্রতিনিধি অরূপ সাহা। তিনি জানান, শাঁখা-সিঁদুর পরে শ্বশুরবাড়িতেই ছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। তাকে প্রশ্ন করা হলে সে অসংলগ্ন জবাব দেয়। কখনও দাবি করে, সে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে, কখনও আবার ভুল হয়ে গিয়েছে বলেও জানায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ-প্রশাসনের আসার খবর পেয়েই চম্পট দেন কাউন্সিলর। তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা জানান, বৌমা নাবালিকা, সে কথা আগে ছেলে তাঁদের জানাননি। এর পরেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে বর্ধমানের হোমে পাঠানো হয়। মেয়েটির বাবা-মায়ের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন চাইল্ডলাইনের প্রতিনিধি অরূপবাবু। গ্রেফতার করা হয় মেয়েটির মাকে। বুধবার তাঁকে কাটোয়া আদালতে তোলা হলে দু’দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নাবালিকার বাবা বলেন, ‘‘মেয়ে বছর পাঁচেক ধরে কার্তিকের কাছে টিউশন নিত। মেয়ের মতেই বিয়ে দিয়েছিলাম।’’ তবে মেয়ে বাড়ি ফিরলে তাঁকে আরও পড়াতে চান বলে জানান তিনি। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, স্কুল থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পেয়েছিল মেয়েটি। দাঁইহাটের আর এক সিপিএম কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান বিদ্যুৎবরণ ভক্ত বলেন, ‘‘শুনেছি, বিয়েতে মেয়েটির মত রয়েছে। তার আঠারো বছর বয়স হওয়ার পরে ওরা সংসার করুক।’’

নাবালিকা বিয়ের কুফল ছাত্রীদের বোঝাতে দাঁইহাট গার্লস স্কুলে প্রচার করা হবে বলে জানান অরূপবাবু। দাঁইহাটের পুরপ্রধান তৃণমূলের শিশির মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এক জন কাউন্সিলরের যেখানে এমন ঘটনা আটকানো উচিত, সেখানে তিনি নিজে এই কাজ কী ভাবে করলেন, বুঝতে পারছি না!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Child Marriage Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE