দুর্গাপুরের হুচুকডাঙায় ওমপ্রকাশ সিংহের তোলা ছবি।
নোট বাতিলের প্রভাব পড়ল বড়দিনেও। দুর্গাপুরের বিভিন্ন পার্ক ও পিকনিকের জায়গাগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, বড়দিনে উপস্থিতির হার অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। আশঙ্কা, এমন অবস্থা চলতে থাকবে বর্ষশেষের দিনগুলিতেও। অথচ, বছরের মধ্যে সব থেকে ভাল ব্যবসা হয় এই সময়েই। এ দিন মাইথনে প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা হলেও বিক্রিবাটা সেই হারে হয়নি বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
দুর্গাপুর শহরের সিটি সেন্টারের পার্কটিতে ভিড় ছিল ভালই। বিভিন্ন ধরনের রাইড, ওয়াটার অ্যামিউজমেন্ট পার্ক গড়ে ইতিমধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে পার্কটি। সারা বছর কমবেশি ভিড় হয়। আগে বড়দিনে পার্কে ভিড় সামলাতে গেট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। টয়ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। এ বারও ভিড় ছিল। তবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এ দিন পার্কে গিয়ে দেখা গেল, ন’ডিহা থেকে এক দল এসেছেন পিকনিক করতে। তাঁরা জানালেন, অন্য বার খাসির মাংস হয়। এ বার হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তাই ডিমের ঝোলেই কাজ সারা হচ্ছে।
রানিগঞ্জের গির্জায় বিশ্বনাথ মশানের তোলা ছবি।
শহরের বাইরে নাচন থিম পার্কেও এ দিন পিকনিক করতে আসা মানুষজনের ভিড় ছিল। তবে তুলনায় কম। একই অবস্থা আউশগ্রামের ভাল্কি মাচানের। জঙ্গলের মাঝে পিকনিকের জন্য অনেকেরই পছন্দের জায়গা ভাল্কি। পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা সংস্থার পক্ষে শান্তনু মণ্ডল বলেন, ‘‘এমনিতেই ভিড় কম। এ দিন ভিড় ছিল আগের বারের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।’’ ধানের দাম তলানিতে। এ দিকে আলু চাষও এখনও ঠিক মতো করে উঠতে পারেননি চাষিরা। ফলে গ্রামিণ এলাকার মানুষের হাতে টাকা কম। তাই এমন দশা, মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ দিন মাইথনে ভিড় হয়েছিল অন্য নানা বছরের মতো। এ বার থেকে গাড়ি রাখার জন্য টোল আদায় শুরু হয়েছে মাইথনে। সেই টাকা দেওয়ার ব্যাপারে অসন্তোষ জানান পিকনিকে আসা অনেক গাড়ির চালক। এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ভিড় ভাল হলেও বিক্রিবাটা অন্য বারের মতো হয়নি বলে দাবি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy