এ ভাবেই রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে ছাই। নিজস্ব চিত্র
স্পঞ্জ আয়রন কারখানার বর্জ্য ছাই ফেলা হচ্ছে রাস্তার পাশে। এমনই অভিযোগ উঠেছে জামুড়িয়া শিল্পতালুকের কারখানাগুলির বিরুদ্ধে। লাগোয়া বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।
৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জামুড়িয়ার জোড়জানকী, খোলাধাওড়া, সহিসপাড়া, ভূতবাংলা, ধসল গ্রাম রয়েছে। গ্রামবাসী জানান, রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে ছাই ফেলে চলে যাচ্ছে কারখানাগুলি। স্পঞ্জ আয়রন তৈরির জন্য বয়লারে আকরিক লোহা ও কয়লা পোড়ানো হয়। সেগুলি জ্বলে যাওয়ার পরে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে অবশিষ্ট কালো ছাই বেরিয়ে আসে। এলাকাবাসী জানান, সেই ছাইয়ের জেরেই ঘটছে বিপত্তি। ছাই উড়ে এলাকার গাছ, বাড়ির ছাদ কালো হয়ে যাচ্ছে। এমনকি, ঘরের দরজা-জানলা খোলা রেখে খাওয়াও যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে এলাকার স্বাস্থ্য-পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকেরা। আসানসোল জেলা হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার শ্যামল সান্যাল জানান, এই ধরনের ছাই থেকে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, চামড়ার নানা রোগ হতে পারে। এই ছাই যত্রতত্র ফেলা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।
পরাশিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষ্মী মুণ্ডা জানান, মাস ছয়েক আগে তাঁদের পঞ্চায়েতের তরফে বিডিও-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ছাই ফেলা বন্ধে পদক্ষেপ করার জন্য আর্জি জানানো হয়। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। জোড়জানকীর তরুণ মণ্ডল, ১০ নম্বর আদিবাসীপাড়ার আনন্দ বাসকিরা জানান, রাস্তার পাশে ছাই ফেলায় রোগের আশঙ্কার পাশাপাশি দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বাড়ছে।
যদিও স্পঞ্জ আয়রন কারখানার মালিকদের সংগঠন জামুড়িয়া স্টিল ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পওন মাউণ্ডিয়া জানান, সংশ্লিষ্ট কোনও তরফ থেকেই কোনও অভিযোগ আসেনি। তেমন কোনও অভিযোগ পেলে কোন কারখানা এমনটা করছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিডিও (জামুড়িয়া) অনুপম চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ জানাননি। অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy