Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আক্রমণ রুখে ভোট দিতে ডাক

তৃণমূলের সন্ত্রাসের তোয়াক্কা না করে নির্ভয়ে বুথে গিয়ে মানুষকে ভোট দিতে অনুরোধ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার মেমারি থেকে কাটোয়া, দাঁইহাট, সব জায়গাতেই এই বার্তাই দেন তিনি। মেমারির চকদিঘি মোড়ে পুরভোটের প্রচার সভায় তিনি বলেন, “গোড়া থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চায়ছে তৃণমূল।

মেমারিতে প্রার্থীদের সঙ্গে অধীর। —নিজস্ব চিত্র।

মেমারিতে প্রার্থীদের সঙ্গে অধীর। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেমারি ও কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩৫
Share: Save:

তৃণমূলের সন্ত্রাসের তোয়াক্কা না করে নির্ভয়ে বুথে গিয়ে মানুষকে ভোট দিতে অনুরোধ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার মেমারি থেকে কাটোয়া, দাঁইহাট, সব জায়গাতেই এই বার্তাই দেন তিনি।

মেমারির চকদিঘি মোড়ে পুরভোটের প্রচার সভায় তিনি বলেন, “গোড়া থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চায়ছে তৃণমূল। সে জন্য আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া, নানা ধরনের হুমকি দেওয়া চলছিল। প্রার্থী দেওয়ার পরেও মিটিং মিছিলে হামলা, পার্টি অফিস আক্রমণ ইত্যাদি চলছে।’’ তবে এ সমস্ত রুখে মানুষকে নিজের অধিকার বুঝে ভোট দেওয়ার ডাক দেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের দিকে মানুষ আবার ফিরে আসছেন।” চকদিঘি মোড়ের জনসভায় ভিড় দেখে তিনি বলেন, “মেমারি বা বর্ধমানে কংগ্রেস হয়ত এখন তেমন শক্তিশালী নয়। কিন্তু আগামী বিধানসভায় এই জেলায় কংগ্রেসকে নতুন রূপে আপনারা দেখতে পাবেন। কংগ্রেস ছিল, আছে ও থাকবে।” ভোটারদের নিজের অধিকার বুঝে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কী আশা করেছিলেন আর কী পেলেন, এই দুটোর ফারাক বুঝে ভোট দেবেন। আপনারা নানা কর দেন, নানা ফি দিয়ে ব্যবসা করেন, তাই নিজের অধিকার বুঝে নিন।’’

সভায় ছিলেন জেলার কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও বলেন, “তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাস করছে তার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। ভোটের দিন ওদের ওই সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে হবে।” স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সেলিম মোল্লা, যুব নেতা অভিজিত্‌ ভট্টাচার্যের মুখেও একই সুর শোনা যায়। তাঁদের দাবি, অধীর চৌধুরীর সভার পরে অনেক অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে কংগ্রেস।

কাটোয়া, দাঁইহাটেও সন্ত্রাসের কাছে মাথা না নামিয়ে লড়াইয়ের কথা বলেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘কাটোয়া পুরভোটের ফলাফল আশপাশের ৩-৪টে জেলার রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে। কংগ্রেস এখানে ২০ বছর রয়েছে। সমালোচনা হবে, তবে বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন শহরের মানুষ।’’ সিপিএম বা তৃণমূল কাটোয়ার উন্নয়নের জন্য কী করেছে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। কথা বলেন শহরের পুর পরিষেবা নিয়েও। ভাগীরথীর উপর সেতু গড়া নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যাকে আন্দোলনে নামার নির্দেশ দেন। অধীরের দাবি, সেতু হলে কাটোয়ার বাণিজ্যিক চেহারাটাই বদলে যাবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কাটোয়া আগেও রক্তাক্ত ভোট দেখেছে। এ বারেও পুলিশ, গুন্ডা তৃণমূলের সঙ্গে থেকে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করবে। কিন্তু সন্ত্রাস রোখার ক্ষমতা আমাদের আছে।’’

দাঁইহাটের উন্নয়নেও সরকারের তরফে তেমন সাহায্য মেলে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘‘দাঁইহাট ‘ই’ ক্যাটাগরির পুরসভা। কোনও সাহায্যই প্রায় মেলে না। তবু সাধ্যের মধ্যে উন্নয়নের চেষ্টা করে চলেছি আমরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE