মাঠের কাজে ব্যস্ত চাষি, কালনায়। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল
বৃষ্টির অভাবে সময়ে আমন ধান রোয়া নিয়ে সংশয়ে পড়েছিলেন চাষিরা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সে খামতি অনেকটাই পূরণ হয়েছে, দাবি কৃষিকর্তাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টির সঙ্গেই সেচখালেও জল ছাড়া হয়েছে। ফলে খরিফ মরসুমে ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বড়জোর এক সপ্তাহ বেশি লাগবে।
জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “১৫ অগস্টের মধ্যে ধান রোপণ করার শেষ সময়সীমা। চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত আর জল ছাড়া দেখে মনে হচ্ছে জেলার সব জমিতে ধান রোপণ ২০ অগস্টের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’’
কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, খরিফ মরসুমের শুরুতে জুন মাসে ৫৭ শতাংশ, জুলাই মাসে ৩৭ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। অগস্টের প্রথম সপ্তাহে টানা বৃষ্টি হওয়ায় ঘাটতি কমে ২৯ শতাংশে নেমেছে। ২ অগস্ট পর্যন্ত জেলা জুড়ে ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোয়া হয়েছিল। গত শুক্রবার জেলায় ধান চাষের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪৭৮ হেক্টর। অর্থাৎ গত এক সপ্তাহে ২ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করেছেন চাষিরা। কৃষি দফতরের দাবি, গতবার ৯ অগস্ট পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছিল। বৃষ্টির ঘাটতির জন্যে এ বারও ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে কৃষি দফতর। তবে সেচখালে জল থাকায় প্রতিদিন ধান রোপণের এলাকা বাড়বে, মনে করছেন কৃষিকর্তারা।
গলসির কালিপ্রসন্ন গঙ্গোপাধ্যায়, বাহিরঘন্ন্যা গ্রামের আলমগির মল্লিকদের দাবি, “আগের চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি চাষিরা পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছেন।’’ তবে জলাধার থেকে প্রথম দফার জল ছাড়া শেষ হয়ে গেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে, সে জন্য আরও কিছুটা বৃষ্টির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন চাষিরা। সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় জল ছাড়বে বলে ডিভিসি জানিয়েছি। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি না হলে জলাধার থেকে জল ছাড়া নিয়মমাফিক হবে কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
জেলার ‘আতমা’ প্রকল্পের অধিকর্তা আব্দুস সালামের কথায়, “বৃষ্টির অপ্রতুলতার জন্যে জেলার অনেক জায়গায় চাষিরা একত্রে ড্রাম সিডার, জিরো টিলেজের মতো পদ্ধতি প্রয়োগ করে কম জলে চাষ করেছেন। যন্ত্রের সাহায্যে ধান রোপণও চলছে। কত জমি ওই পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে, তার তথ্য জোগাড় করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy