Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে উদ্ধার চার খুলি, ধন্দ

একটি খুলি আবর্জনা তোলার যন্ত্রের চাকায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্ধমান থানার পুলিশ খুলিগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কোথা থেকে কী ভাবে সেগুলি সেখানে এল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।

ঘটনাস্থলে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

ঘটনাস্থলে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২৩
Share: Save:

ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে মানুষের চারটি খুলি উদ্ধার হল বর্ধমানে। শনিবার দুপুরে কালনা রোডে রায়ান অঞ্চলের কপিবাগানে ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা সারানোর সময়ে মাটির তলা থেকে খুলিগুলি বেরিয়ে আসে বলে কর্মীরা জানান। একটি খুলি আবর্জনা তোলার যন্ত্রের চাকায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্ধমান থানার পুলিশ খুলিগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কোথা থেকে কী ভাবে সেগুলি সেখানে এল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে কাজ করছিলেন ওই আবর্জনা সরানোর যন্ত্রের চালক রেহমাত খান। তাঁর কথায়, ‘‘হঠাৎ দেখি, মাটির তলা থেকে খুলি উঠে আসছে। সেগুলি দেখেই গ্রামের লোকজনের কাছে গিয়ে জানাই।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা ও ভিলেজ পুলিশকর্মী সুমন্ত দাস বর্ধমান থানায় খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের দাবি, খুলিগুলি খুব বেশি পুরনো নয়। রায়ান ১ পঞ্চায়েতের সদস্য শেখ রাকিব দাবি করেন, ‘‘অনেক আগে এখানে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ফেলে যাওয়া হতো। অনেক দাবি জানানোর পরে তা বন্ধ করা হয়। আবার তা হয়েছে কি না, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’

দুষ্কৃতীরা খুলি ফেলে গিয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন এলাকাবাসী। নাড়ি গ্রামের সাগররাজ মণ্ডল, ছাতিমতলার ছবি লামাদের বক্তব্য, ‘‘এই জায়গাটিতে আবর্জনা ফেলা হয় বলে মানুষজন বিশেষ আসেন না। তাই মৃতদেহ ফেলা হলে জানাও যাবে না। অপকর্ম বাড়তে পারে।’’ তাঁদের দাবি, খুলিগুলি কী ভাবে এখানে এল তার তদন্ত হোক। পুলিশ জানায়, খুলিগুলি উদ্ধার করে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Skeleton Dumping Ground
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE