ফাঁকা ঈশানচণ্ডী হল্ট। নিজস্ব চিত্র
সারা দিনে আপ ও ডাউনে মাত্র দু’জোড়া ট্রেন দাঁড়ায় এই স্টেশনে। অন্য সময় যাতায়াতের প্রয়োজন হলে ভরসা সেই বাস বা অন্য গাড়ি। পূর্ব রেলের আসানসোল বিভাগের বর্ধমান-আসানসোল রুটের ঈশানচণ্ডী হল্ট স্টেশন এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ট্রেন না বাড়ালে যাতায়াতে মুশকিলে পড়ছেন তাঁরা। সোমবার আসানসোলের ডিআরএম পিকে মিশ্রর কাছে এ নিয়ে আবেদন জানান তাঁরা।
ডিআরএম বলেন, ‘‘টিকিট বিক্রির ওপর নির্ভর করে ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ায়। ওঁরা যে সমস্ত ট্রেন স্টেশনে দাঁড় করানোর দাবি করছেন, সেই বিষয়টি রেল বোর্ড দেখে। বোর্ডের সঙ্গে কথা বলা হবে। তবে টিকিট বিক্রি না বাড়লে ট্রেন বাড়ানো মুশকিল।’’
গলসি ২ ব্লকের, খানো, উড়া, বড়সোনা, ছোটমুড়িয়া, সারুল, ডালিমগড়িয়া, পিলগ্রাম, জয়কৃষ্ণপুর, তারানগরের মত প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের একসময় যাতায়াতের জন্য ভরসা ছিল খানো জংশন স্টেশন। তাতে অনেক বেশি পথ ঘুরতে হওয়ায় নিত্য যাতায়াতের জন্য খানো গ্রামে ঈশানচণ্ডী হল্ট স্টেশন গড়ে তোলার দাবি তোলেন তাঁরা। ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই ঈশানচণ্ডীতলায় ওই হল্ট স্টেশনের উদ্বোধন হয়। তখন থেকেই সকাল-বিকেল আপ ও ডাউনে দু’জোড়া করে ট্রেন দাঁড়ায় ওই স্টেশনে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপ লাইনে সকাল ৯টায় ও বিকেল ৪টে ২৪ মিনিটে দু’টি ট্রেন থামে। আর ডাউন লাইনে সকাল ৭টা ৪৪ মিনিট ও বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে দুটি ট্রেন থামে। এলাকার বাসিন্দা অনুজ সরকার, কেনারাম ঘোষ, সফিউর রহমানদের দাবি, ‘‘সারা দুপুর, সন্ধ্যা বা সকালের দিকে আরও কোনও ট্রেন না থামায় খুবই সমস্যা হয়। বিশেষ করে অফিসে যাওয়ার সময় বা স্কুলে যাওয়ার সময় মুশকিল বাড়ে।’’
গলসি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরি বলেন, ‘‘ওই এলাকার মানুষের কাছে ট্রেন না থাকার সমস্যাটা খুবই বেশি। বিষয়টি রেলকে জানানো হয়েছে।’’ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হল্ট স্টেশনে যে সুবিধাগুলি থাকে তার সবই রয়েছে ওই স্টেশনে। তাই ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হলে টিকিটের বিক্রি আগে বাড়াতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy