তাঁরা এমবিবিএস। কিন্তু চেম্বারের দেওয়ালে ঝোলানো তাঁদের ডিগ্রির তালিকা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের। এ রকম ১২ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে চিঠিও দিয়েছে আইএমএ-র বর্ধমান শাখা।
পূর্ব বর্ধমানের সিএমওএইচ প্রণব রায় বলেন, “ওই চিঠির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি জেলার প্রতিটি নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে চিকিৎসকদের তথ্যপঞ্জী সাত দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’’ চিকিৎসক সম্পর্কে প্রাথমিক অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি জেলার নানা জায়গায় ক্ষৌরকার থেকে মুদির দোকানির ঝাঁপ বন্ধ করে অন্য জায়গায় গিয়ে ‘ডাক্তার’ হয়ে বসার একাধিক উদাহরণ সামনে এসেছে। আয়ুর্বেদ ডাক্তার হয়ে অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসা করার ঘটনাও সামনে এসেছে কাটোয়ায়। এরপরেই জেলা জুড়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন সিএমওএইচ। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “জেলায় সিআইডি ১৪ জন চিকিৎসকের তথ্য খতিয়ে দেখছে। আইএমএ-র চিঠি পাওয়ার পরে আমরাও বর্ধমান শহরের ১২ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছি।’’
জানা গিয়েছে, ভুয়ো ডাক্তারদের ধরপাকড়ের পরে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের বর্ধমান ও কাটোয়া শাখা তাঁদের সদস্যদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-সহ তথ্যপঞ্জী জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ওই তথ্য সিএমওএইচ দফতর, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ও এমসিআইয়ের কাছে পাঠানো হবে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মানছেন, ‘ভুয়ো’ চিকিৎসককে চিহ্নিত করতে ডেটা-ব্যাঙ্কের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ সেখানেই এক জন চিকিৎসকের সমস্ত তথ্য বিস্তারিত ভাবে রাখা থাকবে। পাশাপাশি ছাঁকনিতে ধরা পড়ে যাবে চিকিৎসকদের সমস্ত রকম ডিগ্রির সত্যতা।
আইএমএ-র বর্ধমান শাখার যুগ্ম সম্পাদক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “আমাদের ৩৭৭ জন সদস্যের ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।” ওই সংগঠনের কাটোয়া শাখার সম্পাদক তাপস সরকারও বলেন, “আমরাও ৫৮ জন সদস্যের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর-সহ বিভিন্ন তথ্য চেয়েছি।”
ওষুধ দোকানের সংগঠন বিসিডিএ-র কাটোয়া শাখাও তাঁদের সদস্যদের চিকিৎসক বসানো নিয়ে ইতিমধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy