কালনা হাসপাতালে রোগীর বিছানায়। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল।
চাকচিক্য ফিরেছে আগের থেকে। কমেছে রোগী স্থানান্তরের সংখ্যা। কিন্তু কালনা মহকুমা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এখনও ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় কুকুর-বিড়ালকে। হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ায় গরুও।
হাসপাতালে সংক্রামক ওয়ার্ড, মেডিসিন বিভাগ-সহ নানা ওয়ার্ডে দেখা মেলে বেড়ালের। রোগীর বিছানাতেও ওঠাবসা করে তারা। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, তাড়িয়ে দিলে কিছুক্ষণের জন্য পালিয়ে যায় বিড়ালগুলি। কিন্তু তার পরে আবার ফিরে আসে। হাসপাতালের রান্নাঘরের আশপাশেও ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় তাদের।
রোগীর আত্মীয়দের দাবি, বিড়াল তাড়াতে গিয়ে কেউ-কেউ আঁচড়-কামড়ও খেয়েছেন। এক রোগীর আত্মীয় পরিমল পাল বলেন, ‘‘বিড়ালের অবাধ আনাগোনা অনেকের কাছে গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া।’’ রোগী ও তাঁদের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিড়ালের পাশাপাশি কুকুরের দলও নানা ফাঁকফোকর গলে ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে। এক কোণে ঘুমিয়ে থাকা কুকুরের গায়ে অসাবধানে পা পড়ে গেলে তার খেপে ওঠে।
হাসপাতালের চারপাশে নিশ্চিন্তে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় গরুর দলকেও। হাসপাতালের ভ্যাট থেকে আবর্জনা টেনে এনে চত্বর নোংরা করে বলেও অভিযোগ। রোগীর পরিজনেরা নানা সময়ে গরুর গুঁতো খাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু প্রামাণিকের কথায়, ‘‘মাঝে-মধ্যে ষাঁড়ও ঢুকে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। সামনে কাউকে দেখলেই তেড়ে যায় তারা।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিড়ালেরা ঢোকে জানলা দিয়ে। রক্ষী থাকলেও সুযোগ বুঝে ঢুকে পড়ে কুকুরেরা। হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘কুকুরে কামড়ানো, বিড়ালে আঁচড়ে দেওয়ার নজির রয়েছে হাসপাতালে। কুকুর, বিড়াল না থাকলে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতেও সুবিধা হয়।’’ তিনি জানান, আগে রক্ষীদের দিয়ে কুকুর-বিড়াল আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, নানা উপায়ে তারা ভিতরে ঢুকে পড়ে। সুপারের দাবি, হাসপাতাল চত্বরে ঘোরাফেরা করা কুকুরগুলিকে কোথায় রাখা যায়, সে নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy