এই ডুলিতেই দুর্ঘটনা। নিজস্ব চিত্র
ভূগর্ভে ওঠানামা করার ডুলি সারাইয়ের সময়ে পা হড়কে খনির নীচে পড়ে মৃত্যু হল এক কর্মীর। রবিবার ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার খাসকাজোড়া কোলিয়ারির ৬ নম্বর খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত ও মৃতের নিকট আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠনগুলি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অপন কুমার (৩৬) মধুসূদনপুর ৭ নম্বর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ‘ফিটার হেল্পার’ হিসেবে কাজ করতেন তিনি। খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন খাসকাজোড়ার ওই খনিতে ডুলির বোল্ট সারাইয়ের কাজ করছিলেন ওই কর্মী। আচমকা তিনি খনিতে পড়ে যান। প্রায় এগারোশো ফুট নীচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনার পরেই খনির নীচে কর্মরত কর্মীরা অন্য পথে উপরে উঠে আসেন। কাজ বন্ধ রেখে মৃতের পরিবারের এক জনকে চাকরিতে নিয়োগ ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। দুর্ঘটনার তদন্ত করে দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
সিটু নেতা বিনোদ সিংহ, আইএনটিইউসি নেতা অতুল গোপ, এইচএমএসের বিষ্ণুদেব নুনিয়ারা অভিযোগ করেন, ‘সেফটি বেল্ট’ না পরিয়েই কাজ করানো হয়েছে। তাই খনি কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেন না। সিটু নেতা প্রবীর মণ্ডলের অভিযোগ, “যেখানে কাজ হচ্ছিল সেখানে ‘সেফটি বেল্ট’ ছাড়া কাজ করানো খুন করার চেষ্টার সমান। কার নির্দেশে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করানো হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” এলাকার তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি এ দিন খনিতে এসে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। যাঁর বা যাঁদের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনিও।
ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “অপনবাবু দক্ষ কর্মী ছিলেন। কী ভাবে সেফটি বেল্ট না পরে কাজ করানো হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy