কালাঝরিয়া জলপ্রকল্প। ছবি: পাপন চৌধুরী
এই শিল্পাঞ্চলের অন্যতম সমস্যা, পানীয় জলের সঙ্কট। জেলার নানা প্রান্তে তা নিয়ে প্রচারও শুরু করেছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। বিরোধীদের এই প্রচারে জল ঢালতে তৃণমূলের ভরসা, নানা জলপ্রকল্প। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের আমলেই আসানসোল শিল্পাঞ্চলে জলপ্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ভোট মিটলে তা চালুও হয়ে যাবে।
আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, শিল্পাঞ্চলের সবচেয়ে বড় জল প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে কুলটিতে। খরচ ধরা হয়েছে, প্রায় ২৩৯ কোটি টাকা। কর্তৃপক্ষের দাবি, ২৮টি ওয়ার্ডের কয়েক লক্ষ বাসিন্দা এই প্রকল্প থেকে সুবিধা পাবেন। প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়েও গিয়েছে বলে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। এ ছাড়া চলতি আর্থিক বর্ষেই আসানসোলের ৫০টি ওয়ার্ডে ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুরসভার কর্তারা। ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ২০১৮-র ডিসেম্বরে জামুড়িয়ার সভা থেকে বলেছিলেন, ‘‘কুলটি, জামুড়িয়ায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আগামী দিনে জলের সমস্যা মেটানো হবে।’’ মেয়র জিতেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুলটিতে নতুন জলপ্রকল্প ও আসানসোলে ২৪ ঘণ্টার জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভোটের পরেই প্রকল্প দু’টির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।’’
যদিও জিতেন্দ্রবাবুর এই দাবিকে ‘নির্বাচনী চমক’ হিসেবেই প্রচার করছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, ‘‘কুলটির জলপ্রকল্পটি আমরাই ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে অনুমোদন করিয়ে এনেছিলাম। সেই সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাবেক কুলটি পুরসভা প্রকল্প রূপায়ণ করতে দেয়নি।’’ আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ের দাবি, ‘‘আসানসোল ও কুলটির প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই এই কৃতিত্ব রাজ্য সরকার বা পুরসভার নয়। এর পুরো কৃতিত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের।’’ যদিও বিরোধীদের যাবতীয় দাবি ও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জিতেন্দ্রবাবু।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সেই সঙ্গে আসানসোল পুরসভা আরও জানিয়েছে, আসানসোলে ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ প্রকল্প সফল হলে পরে কুলটি, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়াতেও এই প্রকল্প গড়া হবে। আরও জানানো হয়েছে, জামুড়িয়ার দরবারডাঙা জল প্রকল্পটিকে আধুনিক করা হয়েছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, জলের পরিমাণ বাড়াতে এখানে নদীগর্ভে ২৮ টি ঝাঁঝড়ি পাইপ (স্ট্রেনার) বসানো হয়েছে। এর ফলে এখন আগের চেয়ে দিন প্রতি প্রায় ১৬ লক্ষ গ্যালন বেশি জল মিলছে। একই ভাবে রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি জল প্রকল্পেও ঝাঁঝড়ি পাইপ বসিয়ে দিন প্রতি প্রায় পাঁচ লক্ষ গ্যালন বেশি জল পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া সালানপুর ও বারাবনি ব্লকে অবস্থিত ইসিএলের জলভর্তি পরিত্যক্ত খাদানের জল পরিশোধন করে এলাকায় সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে, জানান বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy