কাটোয়া শহরে ঢোকার রাস্তায় রেলগেটে যানজট। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখনও প্রার্থী ঘোষণা হয়নি দলের। কিন্তু তা বলে প্রচারের প্রস্তুতি থেমে নেই। কাটোয়ায় প্রচারে এ বার তাঁরা রেলগেটে উড়ালপুল তৈরির দাবি-সহ নানা স্থানীয় সমস্যা নিয়ে সরব হচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি নেতা-কর্মীদের।
পরীক্ষার্থী থেকে অ্যাম্বুল্যান্সের রোগী, কাটোয়ার রেলগেটে ব্যস্ত সময়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সকলকেই। সেখানে একটি উড়ালপুল তৈরির দাবি অনেক দিনের। সাধারণ মানুষের এই সমস্যার কথা এ বার প্রচারে তাঁরা তুলবেন বলে বিজেপি নেতাদের দাবি। তাঁদের আশা, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অধীনস্থ কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় এ বার দল ভাল ফল করবে। দলের নেতাদের দাবি, কাটোয়া শহর এলাকায় তাঁদের সংগঠন শক্ত হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কাটোয়ায় তৃণমূলের থেকে ৭৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল বিজেপি। সেই ব্যবধান মুছতে এ বার রাজ্য সরকারের ‘ব্যর্থতা’র কথা তুলে ধরার পাশাপাশি স্থানীয় নানা সমস্যাগুলির উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি (বর্ধমান পূর্ব) কৃষ্ণ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘কাটোয়া শহরের মূল সমস্যা রেলগেটে যানজট। ১৯৯৬ সাল থেকে কোনও সরকার এই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। শহরে ফুটপাত তৈরি করলেই তো আর উন্নয়ন হয় না!’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিনে ৭০-৭২টি ট্রেন চলাচল করার জন্য শহরের প্রবেশদ্বার এই রেলগেটটি দিনে বহু বার ওঠা-নামা করে। ফলে, বাসস্ট্যান্ড থেকে স্টেশনবাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়। কৃষ্ণবাবুর আরও বক্তব্য, ‘‘রেলগেটে উড়ালপুলের পাশাপাশি কাটোয়ায় কোনও পার্ক নেই। এত দিন ধরে এ সব সমস্যা রাজ্যের শাসকদল সমাধান করতে পারেনি।’’
বিজেপি সূত্রে জানা যায়, কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় ২৯৭টি বুথের মধ্যে ২২৫টিতে এখনও পর্যন্ত বুথ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিঙ্গির মতো কিছু এলাকায় বুথ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এখনও প্রার্থী ঘোষণা না হলেও স্থানীয় সমস্যা নিয়ে বাড়ি-বাড়ি প্রচার শুরু করা হয়েছে বলে জানান কৃষ্ণবাবু। মহিলা কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি।
শহরের সমস্যা নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন শাসকদলের নেতারা। কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘উড়ালপুল তৈরির জন্য রেলের কাছে নকশা ও বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠানো আছে। অনুমোদন দিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। উদ্যোগ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy