Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মেলায় তৃণমূলের প্রার্থী, পাল্টা নালিশ বিধিভঙ্গের

তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘দুপুর ১২টা নাগাদ মেলার শিবির থেকে মাইক বাজিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছে বিজেপি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

 গোপীনাথ মেলায় নানা দলের স্টল। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।

গোপীনাথ মেলায় নানা দলের স্টল। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
অগ্রদ্বীপ শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০০
Share: Save:

ঘাট পেরোতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকায় ছয়লাপ চত্বর। আর কিছুটা এগোতে পাশাপাশি শিবির সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপির। অগ্রদ্বীপের গোপানীথ মেলাতেও ভোটের প্রচারে বিরাম নেই কোনও দলের।

সোমবার পুজো দিতে হাজির হন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পুজো দিয়ে নদিয়ার বিদ্যানগরের একটি আখড়ায় মালসা ভোগও খান তাঁরা। ভক্তদের সুনীলবাবু আশ্বাস দেন, ‘‘পাঁচ বছরে এই অঞ্চলে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘাটে বিশ্রামাগার, হাইমাস্ট আলো, মহিলা-পুরুষদের পৃথক শৌচাগার করে দিয়েছি। এ বার জিতলে একটি তিনতলা ফ্লাডসেন্টার বানিয়ে দেব।’’ তৃণমূল আশ্বাসে থেমে থাকলেও বিজেপির বিরুদ্ধে মাইক ফুঁকে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘দুপুর ১২টা নাগাদ মেলার শিবির থেকে মাইক বাজিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছে বিজেপি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের যদিও দাবি, ‘‘মাইক বা চোঙা আনাই হয়নি। অপপ্রচার চলছে।’’ কাটোয়ার মহকুমাশাসক সৌমেন পাল জানান, ‘অনুমতি নিলে তবেই রাজনৈতিক দল মেলা চত্বরে মাইক বাজাতে পারবে। উক্ত রাজনৈতিক দল এ দিনের জন্য মাইক বাজানোর কোনও অনুমতি নেয়নি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০০২ সাল থেকে প্রতি বছর স্বপনবাবু এ মেলায় এলেও সুনীলবাবুর আসা যে পুরোটাই ভোটের প্রচার, দাবি বিরোধীদের। তাঁরা জানান, পায়ের তলার মাটি হালকা হচ্ছে বুঝে কিছুই বাদ দিচ্ছে না তৃণমূল। যদিও সুনীলবাবু এ দিন দাবি করেন, ‘‘এখানে আমার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীই নেই। বিজেপির তো সংগঠনই নেই। আর সিপিএম মানুষের মন থেকে মুছে গিয়েছে।’’

সম্প্রতি কাটোয়া ২ ব্লকে বেশ কিছু বৈঠক, জনসভা করেছে বিজেপি। মুস্থুলি, জগদানন্দপুর ঘুরে প্রচার শুরু করেছেন বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস। সিঙ্গি বাদ দিয়ে এই ব্লকের বাকি পঞ্চায়েতগুলোতে সংগঠন মজবুত বলেও দাবি বিজেপির জেলা নেতৃত্বের। তবে সে সবে আমল দিতে রাজি নন তৃণমূল প্রার্থী। মন্ত্রীর সঙ্গে আড্ডার ফাঁকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনি এখানকার বাসিন্দা নন বলেই শুনেছি। আর যাঁরা সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিল বলে বিজেপি মজবুত সংগঠনের দাবি তুলছে তারাও শুনেছি ফের বিজেপি ত্যাগ করেছে।’’ বিজেপি যদিও তাঁর অভিযোগ মানেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Fair BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE