হাসপাতালে আহতেরা। নিজস্ব চিত্র
প্রচারের শেষ পর্বে সংঘর্ষ বাধল তৃণমূল-সিপিএমে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গলসির মসজিদপুর গ্রামে। তৃণমূলের অভিযোগ, কর্মীরা নকল ভোটিং যন্ত্র বাড়ি-বাড়ি নিয়ে গিয়ে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছিলেন। সেই সময়ে তাঁদের উপরে হামলা হয়। সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই হামলা চালিয়েছে। মারামারিতে দু’পক্ষের জনা ছয়েক জখম হন বলে দাবি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই গ্রামে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ছিল। ভোটের আগে একটি গোষ্ঠীর কিছু লোকজন সিপিএমের দিকে ঝুঁকেছেন। তার জেরেই অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে গ্রামে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সে দিন সন্ধ্যায় দলের প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার হয়ে প্রচার সেরে গ্রামের মোড়ে পৌঁছতেই মারামারি শুরু হয়ে যায়। তৃণমূল কর্মী শম্ভু শেখ, শেখ আসপিয়াদের অভিযোগ, ‘‘সিপিএমের লোকজন লাঠি-রড নিয়ে আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়।’’ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
আহত তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শেখ আম্বিয়া ও শেখ জহর নামে দু’জন চিকিৎসাধীন। সিপিএমের দাবি, জয়নাল আবেদিন ও দেলওয়ার শেখ নামে তাদের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ রাতেই সিপিএম কর্মী ডেভিড রহমান বড়াল ও তৃণমূল কর্মী শেখ জাহাঙ্গিরকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার বর্ধমান আদালত ধৃতদের তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার গ্রামে মিছিল করে তৃণমূল। দলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি গুল মহম্মদ মোল্লার অভিযোগ, ‘‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।’’ সিপিএমের সংগঠন কৃষকসভার জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ওই গ্রামে হারের ভয়ে তৃণমূল অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। তাই আমার কর্মীদের মারধর করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy