Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দ্বন্দ্ব মেটানোর বার্তা সত্ত্বেও আলাদা সভা

রবিবার দুপুরে কাটোয়ার সংহতি মঞ্চে প্রতি বছরের মতো বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মণ্ডল আজিজুল প্রমুখ।

সভায় স্বপন দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র

সভায় স্বপন দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০২:০৬
Share: Save:

বিজেপি-র বিরোধিতায় আগের দিনই আলাদা ভাবে মিছিল-পথসভা করেছেন দলের দুই নেতার অনুগামীরা। তার পরেই রবিবার কাটোয়ায় বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বার্তা দিলেন, ‘দল আগে, ব্যক্তি পরে’। কিন্তু তিনি এলাকায় এসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধের এই নির্দেশ দেওয়ার দিনই ফের নিজের কিছু অনুগামীকে নিয়ে পৃথক বিজয়া সম্মিলনী করলেন কাটোয়ার পুরপ্রধান তৃণমূলের অমর রাম।

রবিবার দুপুরে কাটোয়ার সংহতি মঞ্চে প্রতি বছরের মতো বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মণ্ডল আজিজুল প্রমুখ। এ দিন মূলত পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে নানা নির্দেশ দেন নেতারা।

দিন কুড়ি আগে কাটোয়া বিধানসভা মহিলা তৃণমূলের সম্মেলনে এসেও কর্মীদের কোন্দল মেটানোর বার্তা দিয়েছিলেন স্বপনবাবু। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘কেউ যদি ভাবেন আমি প্রার্থী হব, দল আমায় প্রার্থী করবে, তাহলে চলবে না। দলের স্বার্থে কাজ করুন, ফল পাবেন।’’ নির্দেশ না মানলে দল যে কারও পাশে থাকবে না, সে কথাও জানান তিনি। নানা গোষ্ঠাকে কোন্দল মেটাতে বলে তিনি বলেন, ‘‘আমিই সব, এই ধারণা ত্যাগ করতে হবে। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।’’ বুথভিত্তিক ফল যাতে ভাল হয় সে জন্য বাড়ি-বাড়ি গিয়ে রাজ্যের নানা প্রকল্পের কথা তুলে ধরার নির্দেশ দেন কর্মীদের।

শনিবার বিজেপি-র বিরোধিতায় কাটোয়ায় আলাদা ভাবে কর্মসূচি পালন করেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবু ও পুরপ্রধান অমরবাবুর অনুগামীরা। কাল, মঙ্গলবার পুরপ্রধানকে পদ থেকে অপসারনের দাবি নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। এ দিন কাটোয়ার মাধবীতলায় দলের কার্যালয়ে নিজের অনুগামীদের নিয়ে আলাদা ভাবে বিজয়া সম্মিলনী করেন অমরবাবু।

দলের বার্তার পরেও পুরপ্রধান আলাদা কর্মসূচি নেওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? স্বপনবাবু বলেন, ‘‘দলের নির্দেশেই পুরপ্রধানকে অপসারণের চিঠি দেওয়া হয়েছে। দল ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’’ অমরবাবু এ দিন ফোন ধরেননি। তবে তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত কাউন্সিলর প্রণব দত্ত বলেন, ‘‘আমরা শহরের লোক নিয়েই সভা করেছি। প্রায় হাজার জন কর্মী ছিলেন।’’ দলের জেলা নেতৃত্ব কেন এই সভায় এলেন না, তার কোনও উত্তর অবশ্য তাঁরা দিতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE