এ ভাবেই কচুরিপানায় ঢেকেছে ছাড়িগঙ্গার বিস্তীর্ণ এলাকা। নিজস্ব চিত্র
শীতের আগে পূর্বস্থলীতে ছাড়িগঙ্গা ঢেকেছে কচুরিপানায়। এমনটা চলতে থাকলে চুপি পাখিরালয়ে পরিযায়ী পাখিদের থাকায় সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা। পাশাপাশি, পাখি আসার সংখ্যাও কমে যেতে পারে দাবি এলাকাবাসীর একাংশের।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০০৮-এ এই জলাশয়ে ৭৩টি প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছিল। ২০১৮-র পক্ষী গণনায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৯টি। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই সংখ্যায় অল্প হলেও ছাড়িগঙ্গায় দেখা যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়ান স্কিমার’, ‘গার্গ্যানে’, ‘কটনটেল’, ‘গোল্ডেন প্লোভার’-সহ কয়েক ধরনের পাখি। নভেম্বর থেকে পরিযায়ী পাখিদের দেখতে ভিড় জমান পর্যটকেরা।
কিন্তু এ বার সমস্যা বেধেছে অন্য জায়গায়। এলাকাবাসী জানান, ফি বছরই পাখিরালয়ের জলাশয়ে কচুরিপানা থাকে। তাতে লুকিয়ে থাকা কীটপতঙ্গ ধরে খায় পাখিরা। সেখানে অনেক সময়ে ডিমও পাড়ে। তবে, এ বার গোটা জলশয় জুড়েই কচুরিপানার ঘন আস্তরণ। কারণ, বৃষ্টি কম হওয়ায় এ বার পানা জলের তোড়ে অন্যত্র ভেসে যায়নি।
কচুরিপানার জন্য পাখিরালয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নৌকা চলাচল। বন্ধ মাছ ধরাও। পক্ষীপ্রেমীদের দাবি, জলাশয়ে নিজেদের ঠিক মতো পরিবেশ না মিললে এলেও অন্যত্র চলে যেতে পারে পরিযায়ীর দল।
গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে পখিরালয়ের পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে কাজ করছে ‘বনবীথি’ নামে একটি সংস্থা। সংস্থার তরফে পক্ষিপ্রেমী সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘দ্রুত কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। তা না হলে পরিযায়ীর পাখির সংখ্যা কমেও যেতে পারে।’’
বিষয়টি নিয়ে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের প্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘন কচুরিপানার কারণে পরিযায়ীদের পাখিদের জলাশয়ে বসার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে।’’ পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘন কচুরিপানার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু বিষধর সাপ। সরকারি কোন খাত থেকে কী ভাবে পাখিরালয়ের জলাশয় সাফ করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। পাশাপাশি, পাখিরালয়ে কটেজ তৈরি-সহ আরও কিছু আধুনিকীকরণের নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy