Advertisement
১১ মে ২০২৪

বিমানবন্দরে রাস্তা বেহাল, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সড়ক থেকে বিমাননগরীর ভিতর দিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পেরোলে বিমানবন্দরে পৌঁছনো যায়। রাস্তাটি গিয়েছে মাঠের মাঝ দিয়ে। অথচ, ওই রাস্তার পাশে সে ভাবে নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হয়নি।

অণ্ডালে। নিজস্ব চিত্র

অণ্ডালে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৫
Share: Save:

এই বিমানবন্দর থেকে নানা রুটে একের পর এক বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে বেড়েছে বিমানের সংখ্যাও। এই বিমানবন্দরে নেমেছেন দেশ-বিদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরাও। কিন্তু ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে ঢোকা-বেরনোর রাস্তাটিই সংস্কারের অভাবে বেহাল। এই পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে রাতে সমস্যা বাড়ছে বলে জানান যাত্রীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সড়ক থেকে বিমাননগরীর ভিতর দিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পেরোলে বিমানবন্দরে পৌঁছনো যায়। রাস্তাটি গিয়েছে মাঠের মাঝ দিয়ে। অথচ, ওই রাস্তার পাশে সে ভাবে নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হয়নি। ফলে, বর্ষায় জল জমে যায় রাস্তার নানা অংশে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যা বাড়ে। যাত্রীরা জানান, জল নেমে গেলেও কয়েক দিন গাড়ি চলাচল করার পরে রাস্তার বেশ কিছু অংশ বসে যায়। তৈরি হয় খানাখন্দ। অস্থায়ী ভাবে মেরামতির ব্যবস্থা করা হলেও তা টেকে না। ফলে, ওই খন্দে ভরা রাস্তা দিয়েই বিমানযাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়।

এই বিমানবন্দর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে দিল্লি রুটে সপ্তাহে চার দিন বিমান চালু করে এয়ার ইন্ডিয়া। তখন অল্প কয়েক জন যাত্রী যাতায়াত করতেন বিমানবন্দরে। পরে এয়ার ইন্ডিয়া সপ্তাহে চার দিন হায়দরাবাদ ও একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা সপ্তাহে সাত দিন করে মুম্বই ও চেন্নাই রুটে বিমান চালানো শুরু করে। ফলে, গড়ে প্রতিদিন কয়েকশো যাত্রী যাতায়াত করেন বিমানবন্দরে। এর মধ্যে হায়দরাবাদের বিমান চলে গভীর রাতে। চেন্নাই বিমানও আসা-যাওয়া করে রাতে। মুম্বইয়ের বিমান সন্ধ্যায় অণ্ডালে নামলেও রাতে ছাড়ে। সব মিলিয়ে অধিকাংশ যাত্রীকেই বিমানবন্দরে যাতায়াত করতে হয় রাতে। রাস্তায় তেমন আলোর ব্যবস্থা নেই। ফলে, সাবধানে গাড়ি না চালালে খন্দে পড়ে বিপদ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

অভিযোগের তবে এখানেই শেষ নয়। যাত্রীদের অভিযোগ, বিমানবন্দরের বাইরের টার্মিনাল অপরিচ্ছন্ন থাকে। মাথার উপরে ছাদ থেকে একাধিক কাচের ‘ব্লক’ উধাও হয়ে গিয়েছে। রাস্তা ছাড়াও সে সব দিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের, এমনই অভিযোগ তাঁদের। তাঁদের কথায়, ‘‘একটি বিমানবন্দর থেকে দেশের তিনটি মেট্রো শহরে বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে। দক্ষিণ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ শহর হায়দরাবাদেও বিমান চলাচল করে। এই বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান নেমেছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিমানও নেমেছে। অথচ, সেই বিমানবন্দরের অপরিচ্ছন্ন দশা দেখে খারাপ লাগে।’’ সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারে আসা প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর বিমানও নেমেছিল অণ্ডালে। তাঁদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যুক্ত পুলিশকর্মীদেরও অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।

শুরুতে রাস্তা তৈরি করেছিলেন বিমাননগরী কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে পূর্ত দফতর রাস্তাটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর অপূর্ব শর্মা বলেন, ‘‘সংস্কারের পাশাপাশি রাস্তার সম্প্রসারণ করবে পূর্ত দফতর। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Road Condition Andal Airport
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE