Advertisement
১১ মে ২০২৪

মেমারিতে উঠোনে বধূর দেহ, পাশে পড়ে বেল্ট

ওই বেল্টের সাহায্যে শ্বাসরোধ করেই অন্তঃসত্ত্বা বধূটিকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ ছ’জনকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শোকার্ত পরিজনেরা। রবিবার জাবুইডাঙা গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।

শোকার্ত পরিজনেরা। রবিবার জাবুইডাঙা গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেমারি শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৫৯
Share: Save:

পরিবারের লোকজন বেরিয়েছিলেন কাজে। বাড়িতে একাই ছিলেন বধূ। উঠোন থেকে সেই বধূর দেহ উদ্ধার হল মেমারিতে। পাশে পড়েছিল একটি বেল্ট। ওই বেল্টের সাহায্যে শ্বাসরোধ করেই অন্তঃসত্ত্বা বধূটিকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ ছ’জনকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রবিবার দুপুরে মেমারির বিজুর ১ পঞ্চায়েতের জাবুইডাঙা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পরিবার সূত্রের দাবি, বাড়ির উঠোনে রান্না করছিলেন সোনিয়া ঘাটি (২০)। সেই সময়ে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে কিছুটা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ঘরের আলমারি ভেঙে বেশ কিছু গয়না নিয়ে আততায়ী চম্পট দিয়েছে বলেও অভিযোগ। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) শৌভনিক মুখোপাধ্যায়, মেমারির ওসি দীপঙ্কর সরকার ঘটনাস্থলে যান। তবে কে বা কারা খুনে যুক্ত, রাত পর্যন্ত তা জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনিয়ার মামারবাড়ি মন্তেশ্বরের পালাতুন গ্রামে। মাস চারেক আগে নির্মাণকর্মী অভিজিৎ ঘাটির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে শাশুড়ি রীতাদেবী কোনও কাজে বাইরে যান। শ্বশুর বোরো ধানের বীজতলায় জল দিতে জমিতে গিয়েছিলেন। অভিজিৎও কাজে বেরিয়ে যান। সোনিয়া রান্না করছিলেন। সকাল ১১টা নাগাদ দু’জন পরিচিত যুবক রান্নার জন্য আনাজ দিয়ে যান। তার কিছু পরেই বাড়ি ফেরেন শ্বশুর কেনারামবাবু।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কেনারামবাবু দাবি করেছেন, বাড়িতে ঢুকে তিনি দেখেন, সোনিয়া উঠোনের এক প্রান্তে আলুথালু অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তখন তিনি পাড়ার এক মহিলাকে ডাকেন। তার পরে কাছে গিয়ে দেখতে পান, গলায় ফঁসের দাগ। পাশে পড়ে রয়েছে একটি বেল্ট। স্থানীয় বাসিন্দারা ২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়হাটিতে মেমারি ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে কালনায় দুই মহিলার উপরে চেন নিয়ে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতী। গলায় চেন পেঁচিয়ে খুন করা হয়েছে এক মহিলাকে। এক বৃদ্ধা কোনওমতে রক্ষা পেয়েছেন। এ দিন মেমারির ঘটনায় মৃতদেহের পাশে বেল্ট পড়ে থাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ বেল্টটি বাজেয়াপ্ত করেছে।

বিজুর ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হরিসাধন ঘোষ বলেন, “পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বলেছি।’’ এসডিপিও শৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Memari Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE