Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Asansol

কোর্টের রায়ে নতুন ভাবনায় উদ্যোক্তারা

এ দিন হাইকোর্টের রায়ের পরেই জেলার বিভিন্ন পুজো কমিটি নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০ ০১:৪০
Share: Save:

পুজো-মণ্ডপে দর্শক ঢোকার ক্ষেত্রে নিযেধাজ্ঞা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের রায় কার্যকর করতে কী-কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে উদ্যোক্তাদের মধ্যে।

করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে পুজো করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সোমবার হাইকোর্ট সমস্ত পুজো মণ্ডপকে ‘নো এন্ট্রি’ জ়োন হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ কতটা মানা হল, তা ৫ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই বিপাকে পড়ে বহু পুজো কমিটি।

আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে মণ্ডপের ভিতরের অংশ কতটা খোলামেলা রাখতে হবে, প্রবেশ ও প্রস্থানের গেট কেমন হবে সে সব নিয়ে নির্দেশিকা দিয়েছিল পুলিশ। মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়। পুলিশের তরফেও দর্শনার্থীদের মাস্ক বিলি করা হবে বলে জানানো হয়। দর্শনার্থীদের জন্য সুরক্ষা-বলয় আঁকার নির্দেশ দেওয়া হয়। সব নির্দেশিকা কতটা মানা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের আধিকারিকেরা বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

অবশ্য এ দিন হাইকোর্টের নির্দেশের পরে, পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে পাঁচ মিটার দূরত্বে এবং বড় মণ্ডপের চারপাশে ১০ মিটার দূরত্বে ব্যারিকেড দিতে হবে। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ জন ও বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫-৩০ জন ঢুকতে পারবেন। তাঁদের নামের তালিকা বাইরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। তা বদলানো যাবে না। দূরত্ব-বিধি মানার দায়িত্ব নিতে হবে উদ্যোক্তা ও পুলিশকে।

এ দিন হাইকোর্টের রায়ের পরেই জেলার বিভিন্ন পুজো কমিটি নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে। দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের সব থেকে বড় দুর্গাপুজো মার্কনী দক্ষিণপল্লি সর্বজনীন। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ গণেশচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। হাইকোর্টের রায় কার্যকর করতে কী-কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে।’’ আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘হাইকোর্টের রায় খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী, পদক্ষেপ করা হবে।’’ জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি জানান, আদালতের নির্দেশ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কী বলছেন রাজনৈতিক নেতারা? এ দিন দুর্গাপুরে বিজেপির রাজ্য রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্য সভাপতি বলেছেন, করোনার সময় দুর্গাপুজো, শুধু পুজো হিসেবেই পালিত হোক। উৎসব হিসেবে নয়। তৃতীয়ার মধ্যেই সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে হাইকোর্ট একটার পর একটা নির্দেশ দিচ্ছে। অথচ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’ তৃণমূলের জেলা কর্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানুষ সারা বছর এই কয়েকটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। মানুষের কষ্ট হবে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ তো মানতেই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Asansol Durga Puja High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE