Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
BJP

রাস্তা আটকাচ্ছে পুলিশ, সরব বিজেপি নেতারা

রবিবার রাতে বর্ধমান থানার সামনে বিসি রোডে গোলমালের ঘটনায় এ দিন বিকেল পর্যন্ত বিজেপি বা তৃণমূল কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।

জেলাশাসকের দফতরের ঢোকার মুখে পুলিশ ও বিজেপি নেতারা। নিজস্ব চিত্র

জেলাশাসকের দফতরের ঢোকার মুখে পুলিশ ও বিজেপি নেতারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব  সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২০ ০২:৪৪
Share: Save:

থানার সামনে কর্মসূচিতে তৃণমূলের ‘হামলা’র প্রতিবাদে জেলা জুড়ে ঘেরাও, বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। জেলাশাসকের দফতরে ঢোকার মুখে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটায় রাখায় ক্ষোভ জানালেন বিজেপি নেতারা। সোমবার গাড়ি থেকে নেমে কেন তাঁদের আটকানো হচ্ছে, প্রশ্ন তুলে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। ছিলেন দলের বর্ধমান জেলা সাংগঠনিক সভাপতি সন্দীপ নন্দীও। আধ ঘণ্টা পরে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। পুলিশ সুপার (পূর্ব বর্ধমান) ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওঁরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। কথা হয়েছে।’’

রবিবার রাতে বর্ধমান থানার সামনে বিসি রোডে গোলমালের ঘটনায় এ দিন বিকেল পর্যন্ত বিজেপি বা তৃণমূল কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। সন্দীপ নন্দীর দাবি, “বর্ধমান থানার সামনে তৃণমূল নেতৃত্বের হাতে আমাদের ছ’জন আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার পরে, ইনজুরি-রিপোর্ট সমেত নির্দিষ্ট ভাবে মামলা রুজু করা হবে।’’ পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর খোকন দাস ও আরও এক তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তাঁদের নেতৃত্বেই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল কোনও অভিযোগ মানেনি।

স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার অভিযোগ করেন, “ওই বিদায়ী কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বর্ধমান শহরের ২২, ২৩ ও ১ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে। ‘গৃহ সম্পর্ক’ অভিযানে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ শনিবারই কাঞ্চননগরে ‘গৃহ সম্পর্ক’ অভিযানে গিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে অশান্তি বেধেছিল বিজেপির। বর্ধমান থানায় অভিযোগও হয়। পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে। রবিবার ফের ওই এলাকায় কর্মসূচি করতে গেলে তৃণমূল বাধা দেয়, অভিযোগ বিজেপির। নেতাদের দাবি, মারধর, বোমাবাজির ঘটনার পরেও বিজেপির কয়েকজনকে পুলিশ তুলে আনে। তার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় বিজেপি বর্ধমান থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। সেখানেও তৃণমূলের লোকেরা এসে মারধর করে বিক্ষোভ তুলে দেয় বলে অভিযোগ।

এ দিন সকাল থেকে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে পুলিশের পাহারা শুরু হয়। পৌনে ৩টে নাগাদ বিজেপির দুই সাংসদ, সন্দীপ নন্দী, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে জেলাশাসক দফতরের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেয়। পুরুলিয়ার সাংসদ উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকেন, “গাড়ি আটকাছেন কেন? ব্যারিকেড দিয়েছেন কেন? থানার ভিতরে মারছে, আর এখানে এসেছেন আমাদের গাড়ি আটকাতে!” বাঁকুড়ার সাংসদকে বলতে শোনা যায়, “পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। তার পরেও গাড়ি আটকাছেন? আসলে পুলিশ আমাদের ভয় পাচ্ছে।’’

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্রথম থেকেই দু’টি গাড়ি নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথা বলা হয়েছে। প্রথম দিকে ওঁরা মানতে চাননি। পরে অবশ্য দু’টি গাড়ি করেই পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।’’

আর তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর খোকন দাসের দাবি, “সকাল থেকে বিজেপি নানা রকম প্রচার করছিল। দিনের শেষে কোনও লোকজন পায়নি। দলটা মিথ্যার উপরে দাঁড়িয়ে করোনার সময়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে বিজেপির মুখোশ মানুষ ধরে ফেলেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE