—প্রতীকী ছবি।
দুপুরে বাপেরবাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু না পৌঁছনোয় খোঁজ শুরু হয়। নানা জায়গার পাশাপাশি সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিভিসি-র সেচখালের বাঁধের ধারেও খোঁজাখুঁজি করেছিলেন পরিজনেরা। কিন্তু, কোনও হদিস মেলেনি। অথচ, পর দিন সকালে সেই বাঁধের পাশে ঝোপ থেকেই উদ্ধার হয় নিখোঁজ বধূর দেহ।
গলসির সাঁকো গ্রামে বধূর দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অনুমান, দিনে নয়, রাতে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ কিলোমিটার সাতেক দূরে বাপেরবাড়িতে যাওয়ার জন্য রাঘবপুরের শ্বশুরবাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে সারা দিন তিনি কোথায় ছিলেন, সে নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ঘটনার পরে দু’দিন কেটে গেলেও আততায়ীর খোঁজ মেলেনি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর ছাব্বিশের ওই বধূ মাস দুয়েকের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। যে ঝোপে দেহ মেলে তার অদূরে মদের বোতল পড়েছিল। মৃতার মাথায় ভারী আঘাতের চিহ্ন ছিল। জামাকাপড় ছিল অবিন্যস্ত। ঘটনার পরে পরিজনেরা ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করলেও সোমবার মৃতার মা লিখিত অভিযোগে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলার এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘সব দিক মাথায় রেখেই তদন্ত হচ্ছে। ময়না-তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বধূর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু সূত্রও মিলেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
পুলিশ জানায়, শনিবার সারা দিন ওই বাঁধ ধরে এলাকার অনেকে মাঠে কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের কিছু নজরে পড়েনি। বধূর বাপের বাড়ির লোকজনও সন্ধ্যায় ওই বাঁধে খোঁজাখুঁজি করেন। পর দিন ভোরে সেখানেই দেহ মেলে। ওই বধূ সারাদিন কোথায় ছিলেন, সেই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, পরিকল্পিত ভাবেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে আততায়ী। সোমবার সন্ধ্যায় মৃতার মা, বাবা ও স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিএসপি (ডিএনটি) অরিজিৎ পালচৌধুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy