ডিহিকা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়ে দিয়েছে, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আর স্থায়ী চিকিৎসক পাঠানো হবে না। সাধারণ রোগে ওষুধের জন্য ভরসা নার্সরাই। এমনই হাল বার্নপুরের ডিহিকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে বারবার দরবার করেও ফল হয়নি। যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের (এনইউএইচএম) আওতায় এনে উন্নয়ন করা হবে বলে দাবি করেছেন আসানসোল পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন দশক আগে দামোদর স্টেশন লাগোয়া এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়। জোড়পাড়া, পুরনোপাড়া, কাদিপাড়া, হুচুকপাড়া, ডিহিকা-সহ বেশ কিছু এলাকায় প্রায় তিন হাজার বাসিন্দা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উপরে ভরসা করেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
অথচ, বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় এক দশক আগে শেষ বার এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা মিলেছিল। তাঁদের অভিযোগ, এখন নিয়মিত চিকিৎসক আসেন না। চিকিৎসক না থাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হন প্রসূতীরাও। সাধারণ অসুখে ওষুধ দেন কর্তব্যরত নার্সরাই। রোগ গুরুতর হলে ভরসা, ১০ কিলোমিটার দূরের আসানসোল জেলা হাসপাতাল। স্থানীয় বাসিন্দা নন্দলাল ভান্ডারি বলেন, ‘‘আমরা স্বাস্থ্য দফতর ও পুর কর্তৃপক্ষের কাছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উন্নয়নের দাবি জানিয়েছি।’’ যদিও জেলার স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, ‘‘এমন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার টাকা খরচ করবে না। স্থায়ী চিকিৎসকও পাঠানো হবে না।’’
তা হলে এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার কী হবে? পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার জানান, ওই অঞ্চলটি আসানসোল পুরসভার অন্তর্গত। অর্থাৎ শহরাঞ্চল। তাই সেখানে এনইউএইচএম-র তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে দাবি পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগতের। তাঁর দাবি, ‘‘ওই কেন্দ্রটিকে আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার করা যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে।’’ তাঁর আরও দাবি, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ায় আরও তিনটি করে আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy