—প্রতীকী চিত্র
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরিচালিত ছাত্র সংসদের মিছিলে হেঁটেছিলেন দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ। মঙ্গলবার সেই মিছিলের সামনে ছিল টিএমসিপি-র নামে ফেস্টুন ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সেই মিছিলে অধ্যক্ষের হাঁটার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল এবিভিপি।
জেএনইউয়ে ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ পড়ুয়াদের উপরে এবিভিপি হামলা চালিয়েছে, এই অভিযোগে সোম ও মঙ্গলবার দুর্গাপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মিছিল বেরোয় দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে। সেটি জওহরলাল নেহরু রোড ধরে এলাকা পরিক্রমা করে। ওই মিছিলের সামনেই ‘টিএমসিপি’ লেখা ফেস্টুনে ছিল তৃণমূল নেত্রীর ছবি। কলেজ থেকে বেরিয়ে মিছিলটি রাস্তায় ওঠা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল কলেজের অধ্যক্ষ পুরুষোত্তম প্রামাণিককে। তার পরে তিনি কলেজে ফিরে যান।
এর পরেই বিতর্ক তৈরি হয়। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক ব্যানারে মিছিলে হেঁটে অধ্যক্ষ পদের গরিমা, সম্মান নষ্ট করেছেন।
বৃহস্পতিবার এবিভিপি-র তরফে মহকুমাশাসকের কাছে বিষয়টি নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের নেতা গৌতম শর্মা বলেন, ‘‘কলেজের অধ্যক্ষ এবং কয়েকজন শিক্ষক সে দিন টিএমসিপি-র মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। এটা হওয়া উচিত নয়।’’ তাঁর দাবি, ওই মিছিলে কলেজের পড়ুয়ারা ছাড়া বহিরাগত লোকজনও ছিল। মহকুমাশাসকের দফতরের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
অধ্যক্ষ অবশ্য দাবি করেন, এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও শিক্ষিকার উপরে আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে কলেজের পড়ুয়ারা মিছিল করেছিলেন। তিনিও প্রতিবাদ জানাতে তাতে শামিল হয়েছেন। মিছিলে কোনও সংগঠনের পতাকা ছিল না। তবে ফেস্টুনে কী লেখা ছিল, তা তিনি দেখেননি বলে দাবি করেন অধ্যক্ষ। তিনি আরও জানান, প্রশাসনের তরফে জানতে চাওয়া হলে বিষযটি তিনি জানিয়ে দেবেন।
ওই কলেজের টিএমসিপি-র তরফে শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা মিছিল করছিলেন। তাতে অধ্যক্ষ হেঁটেছেন। এর মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy