পূর্বস্থলীর কমলনগরে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
গ্রামের খেয়াঘাটে করোনাভাইরাসে মৃতের দেহ পোড়ানো যাবে না দাবি করে পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের কমলনগরের একাংশ বাসিন্দা। শনিবার সকাল থেকে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলে। রাতে আর কোনও দেহ না পোড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ ওঠে। জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘একটা সমস্যা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কমলনগর এলাকার ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন কাটোয়া, নবদ্বীপ-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে কাউকে না জানিয়ে ফেরিঘাট সংলগ্ন স্নানের ঘাটের সামনে খণ্ডঘোষে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের দেহ পোড়ানো হয়, অভিযোগ তাঁদের। শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ বিডিও কার্যালয়ের দুই কর্মী-সহ একটি পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থলে যেতেই ফের দেহ পোড়ানো হবে অনুমান করে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশের আরও দু’টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেগুলিকেও আটকে রাখা হয়। স্থানীয় গোপীনাথ মণ্ডল, বাবলু মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘করোনায় মৃতের দেহ পোড়ানোয় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। এখানকার জলপ্রকল্পের পানীয় জল খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। গরু, মোষকেও ভাগীরথীর জলে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।’’ পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সহ সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, সৎকারের বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না।
তবে জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘কোথাও না কোথাও দেহগুলি তো সৎকার করতে হবে। জনবসতি না থাকায় নির্জন এলাকা হিসেবে ওখানে সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষের আপত্তি থাকলে আর করা হবে না।’’ ঘটনাটি নিয়ে পূর্বস্থলী ২-এর বিডিও কিছু বলতে চাননি। কালনার মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে একটি রিপোর্ট চেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে সোমবার ওই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy