গাছের যত্ন। বর্ধমান পুলিশ লাইনে। নিজস্ব চিত্র
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এলাকার স্কুলগুলিতে চারাগাছ বিতরণের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল গুসকরার একটি সংস্থার তরফে। কিন্তু স্কুলগুলির তরফে তেমন সাড়া না মেলায় অবশেষে ওই চারা জনসাধারণের মধ্যে বিলি করে দিলেন আয়োজকেরা। স্কুলগুলির তরফে কেউ সাফাই হিসেবে এ দিন ছুটি থাকার কথা বললেন, কেউ জানালেন সীমানা প্রাচীর না থাকায় তা নেওয়া যায়নি।
সোমবার গুসকরার ওই সংস্থার সম্পাদক সৌগত গুপ্ত জানান, “গুসকরা পুরসভার অন্তর্গত বিভিন্ন স্কুলে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, প্রয়োজনে স্কুলে চারাগাছ পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ দিন একটি বাদে অন্য কোনও স্কুল থেকে সাড়া মেলেনি।” এর পরেই ওই চারাগাছ এলাকার মানুষের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হয়। এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাক্তন শিক্ষক শরৎ গরাই বলেন, “বর্তমানে সবুজায়নের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। কিন্তু গাছ লাগানোতেই মানুষের মধ্যে অনীহা দেখা যাচ্ছে। বিদ্যালয় স্তর থেকেই এই সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। কিন্তু স্কুলগুলিতে তেমন কোনও উদ্যোগই চোখে পড়লো না”।
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গুসকরা পি পি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক প্রমোদরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “এ দিন ছুটি থাকায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া যায়নি।” তাঁর দাবি, “আগে থেকে জানতে পারলে অবশ্যই অংশ নেওয়া হতো।” কেলেটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের আবার যুক্তি, স্কুলে প্রাচীর না থাকায় গরু-ছাগলে নষ্ট করে দেওয়ার ভয়ে গাছ নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে গুসকরা কলেজের অধ্যক্ষ স্বপনকুমার পান বলেন, “স্কুলে ছুটি থাকলেও যেমন রবীন্দ্রজয়ন্তী, স্বাধীনতা দিবস পালন করে দিনের মর্যাদা রক্ষা করা হয়, তেমনি পড়ুয়াদের সচেতন করতে এ দিনটিও পালন করা উচিত ছিল।” একই মত অনুষ্ঠানে উপস্থিত আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারের। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে অংশ নিলে সকলেই উপকার হতো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy