সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি নির্বাচন হয়ে গিয়েছে মাস দুয়েক আগে। কিন্তু কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন বা স্থায়ী সমিতি গঠন এখনও হয়নি পূর্ব বর্ধমানে। ফলে, জেলা পরিষদের কাজকর্ম কার্যত শিকেয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সামনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর। নিরাপত্তাজনিত কারণে স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক তথা জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক অনুরাগ শ্রীবাস্তব।
এই স্থায়ী সমিতির মাধ্যমে জেলা পরিষদ বার্ষিক পরিকল্পনা করে। তা এখন করা যাচ্ছে না। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তা সংস্কার-সহ বহু উন্নয়নমূলক কাজ আটকে রয়েছে। রাস্তা সংস্কারে প্রায় ২৫ কোটি টাকার দরপত্র তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও তা কর্যকর করতে পারছে না জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। তেমনি প্রাণিবিকাশ দফতর, মৎস্য দফতর, বন ও ভূমি, কৃষি দফতরের বিভিন্ন কাজ আটকে থাকছে।
জেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থায়ী সমিতি নিজেদের মতো করে কাজের রূপরেখা তৈরি করে। বার্ষিক পরিকল্পনা, বাজেট তৈরি করে। সেই বাজেট পাঠানো হয় অর্থ স্থায়ী সমিতির কাছে। পরে পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি করে জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় পেশ করা হয়। সেখানে অনুমোদনের পরে কাজ শুরু হয়।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ৫৮টি আসনই জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু তার পরে স্থায়ী সমিতি গঠন ও কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনে গড়িমসি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, ভোটের আগে-পরে মিলিয়ে মাস আটেক ধরে উন্নয়নের কাজ হোঁচট খাচ্ছে। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘জেলার উন্নয়নে প্রশাসনের ভূমিকা নেতিবাচক।’’ বিজেপি নেতা সন্দীপ নন্দীরও বক্তব্য, ‘‘জেলা পরিষদ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। তার রেশ পড়ছে পঞ্চায়েতগুলিতেও।’’
যদিও সে কথা মানতে নারাজ জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি বলেন, ‘‘প্রকল্প ও পরিকল্পনা খাতের প্রতিটি কাজই মসৃণ গতিতে চলছে। শুধুমাত্র নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফর শেষের পরে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই স্থায়ী সমিতি গঠন ও কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy