অ্যান্টি রিগিং মেশিনের এই প্রজেক্টই পুরস্কৃত হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
‘জাল ভোট’, বিভিন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলি সরব হয় এ নিয়ে। এ বার সেই ‘জাল ভোট’ রুখে দেওয়ার যন্ত্র বানিয়েই দিল্লিতে আয়োজিত সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার পেল দুর্গাপুরের বিধাননগরের শহিদ সুকুমার ব্যানার্জি সরণির একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। পূর্ব ভারতে একমাত্র তারাই এ বছর তারাই এই পুরস্কার পেয়েছে বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ।
‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (এআইসিটিই), কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিলর অফ ইন্ডিয়া’ (ইসিআই) ও ‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (আইএসটিই) যৌথ ভাবে ২০১৭ সাল থেকে ফি বছর ‘এআইসিটিই-ইসিআই-আইএনটিই ছাত্র বিশ্বকর্মা পুরস্কার’ দিয়ে থাকে। এআইসিটিই অনুমোদিত দেশের সব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। দিল্লিতে এআইসিটিই প্রেক্ষাগৃহে ২০-২১ জানুয়ারি এ বারের প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব আয়োজিত হয়। সেখানেই এই কলেজের ‘অ্যান্টি রিগিং ভোটিং মেশিন’ প্রজেক্টটি দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।
দুর্গাপুরের ওই কলেজের সিনিয়র ল্যাব ইনস্ট্রাক্টর সমীর বসাকের তত্ত্বাবধানে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপায়ন নন্দী ও চন্দন গোপের তৈরি ‘অ্যান্টি রিগিং ভোটিং মেশিন’। কী এই যন্ত্রের বিশেষত্ব? সমীরবাবু বলেন, ‘‘এই যন্ত্রের সাহায্যে জাল ভোট আটকানো যাবে। কোনও ভাবেই অতিরিক্ত সংখ্যক ভোট দেওয়া যাবে না। এই যন্ত্রে ভোট হলে কাগজের ব্যবহার বন্ধ হবে। তা ছাড়া সময়ও কম লাগবে।’’ তাঁর দাবি, জাল ভোট দিতে গেলে সচিত্র পরিচয়পত্র আটকে যাবে যন্ত্রে। এর ফলে প্রিসাইডিং অফিসাররা মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হবেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, এ বছর দেশের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ১৬৬৭টি প্রজেক্ট জমা পড়ে। তার মধ্যে প্রায় আটশো প্রজেক্ট বেছে নেওয়া হয়। শেষমেশ চূড়ান্ত পর্যায়ে মনোনীত হওয়া মাত্র ১১৫টি প্রজেক্ট দিল্লিতে চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় প্রদর্শনের সুযোগ পায়। দেশের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন কলেজ থেকে মোট ৭৫টি প্রজেক্ট জমা পড়েছিল প্রাথমিক পর্যায়ে। সেখান থেকে দিল্লিতে সুযোগ পায় মাত্র আটটি প্রজেক্ট। তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই অ্যান্টি রিগিং মেশিনের প্রজেক্টটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy