শপথ-অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটক। নিজস্ব চিত্র
জেলা পরিষদের দ্বিতীয় বোর্ড গঠিত হল পশ্চিম বর্ধমানে। সোমবার দুপুরে আসানসোলে জেলা পরিষদ ভবনে নতুন সদস্যদের শপথপাঠ অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটক। শপথ পাঠ করান অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কস্তুরী বিশ্বাস। সভাধিপতি হিসেবে সুভদ্রা বাউড়ি ও সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাসের নাম ঘোষণা করা হয়। সাত কর্মাধ্যক্ষের নাম মাসখানেক পরে ঠিক হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনটি ভাগে নির্বাচিত ১৭ জন সদস্যকে মঞ্চে ডেকে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। এর পরে সদস্যরা নতুন বোর্ডের প্রথম বৈঠক করেন। তার পরেই নতুন সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস জানান, নতুন বোর্ড কী ভাবে কাজ করবে, তার রূপরেখা সদস্যদের বোঝানো হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষজন প্রয়োজনে এসে যাতে কোনও ভাবেই খালি হাতে ফিরে না যান, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে গত বোর্ডের সদস্যদের কাছ থেকেও পরামর্শ নিতে বলেছেন মন্ত্রী।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আসানসোলে মিছিল করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। নেতৃত্ব দেন অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটক। অরূপবাবুর অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীরা অনেক অপপ্রচার করেছিল। মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়েছেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের ১৭টি আসনেই তৃণমূল কর্মীদের বিপুল ভোটে জিতিয়েছেন ভোটারেরা।’’ তাঁর দাবি, জয়ের পরে এলাকার আইনশৃঙ্খলার কথা ভেবে বিজয় উৎসব করেননি দলের কর্মীরা। শপথ অনুষ্ঠান মিটে যাওয়ার পরে নির্বাচিত সদস্য ও দলীয় কর্মীদের নিয়ে উৎসব করা হল।
সাবেক বর্ধমান জেলা ভাগের পরে ২০১৭ সালের ১৯ জুন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রথম বোর্ড গঠন হয়। আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমার ১৭ জন জেলা পরিষদ সদস্যকে নিয়ে এই বোর্ড গড়া হয়েছিল। দ্বিতীয় বোর্ড আজ, মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর বিজেপি-র ডাকা বন্ধ নিয়ে অরূপবাবু বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ এখন কর্মদিবস নষ্ট করতে চান না। তাঁরাই বন্ধ ব্যর্থ করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy