নিশাদ সামন্ত।
এগারো বছর আগে স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোট চলাকালীন গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তাঁর স্বামী। কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে সভানেত্রী নির্বাচিত হলেন নিহত কংগ্রেস কর্মী তুহিন সামন্তের স্ত্রী নিশাদ সামন্ত।
মঙ্গলবার কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন হয়। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশমতো কাটোয়া ২-এ বছর সাঁইত্রিশের নিশাদকে সভানেত্রী নির্বাচিত করেন সদস্যেরা। সহ-সভাপতি হয়েছেন জাগু প্রধান। পঞ্চায়েত সমিতির ৪ নম্বর সংসদে গাজিপুর থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন নিশাদ।
২০০৭-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের বাস মালিক সংগঠনের অন্যতম সদস্য তুহিন সামন্ত খুন হন। চান্ডুলি হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন চলাকালীন কংগ্রেস এবং সিপিএম কর্মীদের মধ্যে বচসা থেকে অশান্তি তৈরি হয়। অভিযোগ, স্কুলের সামনে কংগ্রেসের শিবিরে বসেছিলেন বছর বত্রিশের তুহিন। তখনই বুকে গুলি লেগে নিহত হন তিনি। অভিযোগ, কাটোয়া থানার তৎকালীন ওসি দেবজ্যোতি সাহা গুলি ছুড়েছিলেন।
পরের বছরই শ্রীবাটি পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে হেরে যান নিশাদ। ফের ২০১৩ সালে জগদানন্দপুরের আসনে প্রার্থী হন। সে বার বাম প্রার্থীকে ৬৭৫ ভোটে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ হন তিনি। এর পরে ২০১৫ সালে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন নিশাদ। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে কাটোয়ার অন্য নানা আসনের মতোই গাজিপুর থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন নিশাদ। সভানেত্রী হওয়ার পরে নিশাদ বলেন, ‘‘বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেখানো পথে চলেছি। উন্নয়নের কাজ বহাল রাখব।’’ তাঁর দেওর তুষার সামন্তও এ বার জেলা পরিষদের ৪৪ নম্বর আসনে প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy