প্রতীকী ছবি।
‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে বাজি ফাটিয়ে জখম হলেন এক যুবক। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ বিকট শব্দে চমকে গিয়েছিলেন গলসি ২ ব্লকের আদড়া ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রের আশপাশের বাসিন্দারা। বহু মানুষ ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়েন। পরে জানা যায়, কেন্দ্রের ঘরের মধ্যেই বাজি ফাটাতে গিয়ে জখম হয়েছেন বছর সাতাশের এক যুবক। বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর। রাতেই প্রথমে আদড়াহাটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে, ফের ওই কেন্দ্রেই রাখা হয়েছে তাঁকে।
পুলিশের দাবি, ওই যুবক তাঁদের জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথিতে কর্মরত অবস্থায় কয়েকটি বাজি (চকোলেট বোমা) কিনেছিলেন তিনি। তার মধ্যে একটি ব্যাগে রয়ে গিয়েছিল। সেটাই ফাটাতে গিয়ে এই বিপত্তি। যদিও এই এলাকার অনেকেরই দাবি, রবিবার রাত ৯টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মোমবাতি জ্বালানোর কথা বললেও বহু এলাকাতেই মোমবাতির সঙ্গে ফানুস ওড়ে, বাজি ফাটে। ওই কেন্দ্রেও বাজি ফাটানোর প্রস্তুতি ছিল বলে দাবি এলাকার অনেকের। যদিও পুলিশ, প্রশাসন তা মানেনি।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আদড়াহাটি আদিবাসী গালর্স হস্টেলের ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে গত ৩১ মার্চ থেকে রয়েছেন ওই যুবক-সহ ১৮ জন শ্রমিক। তাঁরা সকলেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে ঠিকাদারের অধীনে রাস্তা মেরামতের কাজ করতে গিয়েছিলেন। ‘লকডাউন’ হওয়ায় সেখান থেকে হেঁটেই ফেরেন ওই ১৮ জন। তার পর থেকেই তাঁদের আলাদা ভাবে রাখা হয়েছে ওই কেন্দ্রে।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাত্রহাটি গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ মহম্মদ হানিফ, সাতশো মিটার দূরে আদড়াহাটি ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা অরিন্দম মণ্ডলদের দাবি, তাঁরাও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। তাঁদের কথায়, ‘‘হাত বোমা ফেটে যেমন শব্দ হয়ে ততটাই শব্দ হয়েছিল। বিকট শব্দে চমকে উঠেছিলাম।” গলসি থানার এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, বদ্ধ ঘরের মধ্যে বাজি ফাটানোয় আওয়াজের তীব্রতা বেশি হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy