দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র
রেষারেষি করে ছুটছিল দু’টি বাস। তার জেরে দুর্ঘটনায় পড়তে হল এক সাইকেল আরোহী কিশোরকে, অভিযোগ বর্ধমানের বাদামতলা মোড় এলাকার মানুষজন। বুধবার বিকেলে ওই কিশোরকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায়, বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক ও খালাসি পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুকুমার রাম নামে বছর চোদ্দোর ছেলেটি সাইকেলে মেহেদিবাগানের বাড়ি থেকে কার্জন গেট এলাকায় যাচ্ছিল। আর একটি সাইকেলে তার সঙ্গে ছিল এক বন্ধু। তারা নেহরু বিদ্যামন্দির হিন্দি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কার্জন গেটের দিকে যাওয়া একটি বেসরকারি বাস এসবিএসটিসি-র মিনিবাসকে টপকে যায়। দ্রুত গতিতে থাকা এসবিএসটিসি-র বাসটি তখন হঠাৎ সুকুমারের সাইকেলে ধাক্কা দেয়। চার দিক থেকে লোকজন চিৎকার শুরু করলে রাস্তার উপরে বাস রেখে চালক ও খালাসি চম্পট দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক পিঙ্কি হরিজন, গাড়ির চালক প্রসেনজিৎ দাসদের দাবি, ‘‘আমরা ছুটে গিয়ে দেখি, বাসের সামনে রয়েছে সাইকেলটি। চাকার সঙ্গে আটকে গিয়েছে ছেলেটির পা। সবাই মিলে বাসটি পিছনে ঠেলে ছেলেটিকে টেনে তুলে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাঝরাস্তায় বাস দাঁড়িয়ে পড়ায় বেশ কিছুক্ষণ যানজট হয়। এক চালক সেটি রাস্তার ধারে সরিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মাঝে-মধ্যেই জিটি রোড এলাকায় ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েক মাস আগে স্কুলবাসের ধাক্কায় এক জন জখম হন। তখনও খুদে পড়ুয়াদের ফেলে রেখে বাসের চালক পালিয়ে যায়। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা যায়, মিষ্টি হাবকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য এসবিএসটিসি শহরে চারটি বাস চালু করেছে। তারই একটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিশদ তথ্য চাওয়া হচ্ছে।’’
গাড়ির রেষারেষি বন্ধ করতে কর্মশালা, আলোচনাসভা থেকে শুরু করে জরিমানা, নানা পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। কিন্তু, চালকেরা যে সচেতন হচ্ছেন না তা এই দুর্ঘটনা ফের সামনে আনল বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy