Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কর্মিসভায় প্রশ্নের মুখে মন্ত্রী স্বপন

পুরভোটের আগে কর্মিসভায় গিয়ে কলেজ ভোটে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দলীয় কর্মীদের একাংশের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের প্রাণিবিকাশ দফতরের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ধমান জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ। রবিবার কাটোয়ার মাধবীতলায় দলীয় দফতরে শহর সভাপতি অমর রামকে পাশে বসিয়ে স্বপনবাবু বলেন, “কাটোয়ার ২০টি ও দাঁইহাটের ১৪টি ওয়ার্ডে যাঁরা প্রার্থী হতে চান, তাঁরা বায়োডাটা-সহ আবেদন করুন।” ওই আবেদনপত্রগুলি সোমবার রাজ্য স্তরে দলের প্রার্থী নির্বাচক কমিটির কাছে তুলে দেওয়া হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৫ ০১:১৩
Share: Save:

পুরভোটের আগে কর্মিসভায় গিয়ে কলেজ ভোটে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দলীয় কর্মীদের একাংশের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের প্রাণিবিকাশ দফতরের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ধমান জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ।

রবিবার কাটোয়ার মাধবীতলায় দলীয় দফতরে শহর সভাপতি অমর রামকে পাশে বসিয়ে স্বপনবাবু বলেন, “কাটোয়ার ২০টি ও দাঁইহাটের ১৪টি ওয়ার্ডে যাঁরা প্রার্থী হতে চান, তাঁরা বায়োডাটা-সহ আবেদন করুন।” ওই আবেদনপত্রগুলি সোমবার রাজ্য স্তরে দলের প্রার্থী নির্বাচক কমিটির কাছে তুলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, কাটোয়া শহরে গত কুড়ি বছর ধরে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও এ বার সবক’টি ওয়ার্ডেই দল লড়াই করার মতো জায়গায় রয়েছে বলে দাবি স্বপনবাবুর। অমরবাবু লোকসভা ভোটে কাটোয়াতে কংগ্রেসের ভোট কমার প্রসঙ্গ তুলে কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, “আমরা যদি এক হয়ে লড়াতে পারি, তাহলে পুরসভা দখল করা যাবে।” যদিও অমলবাবুর ওই বক্তব্যের পরেই দলীয় কর্মীদের একাংশ চিৎকার করে অভিযোগ জানাতে থাকেন, ‘আমাদের প্রশাসন হওয়া সত্ত্বেও কলেজ ভোটে পুলিশের কাছে মার খেলাম।’ মন্ত্রীর সামনেই প্রশ্ন তোলা হয়, ‘দোষী পুলিশ কর্মীদের এখনও কেন শাস্তি হল না?’

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কাটোয়া কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময় টিএমসিপি পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চার্জ ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল। ওই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মীকে ‘ক্লোজ’-ও করা হয়। প্রসঙ্গত, ওই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে কলেজ চত্বরে দাঁড়িয়েই মন্ত্রী স্বপনবাবু যে কোনও মূল্যে ছাত্র সংসদ দখল করার ডাক দিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কাটোয়া কলেজে ছাত্র পরিষদের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকে। পুলিশি ভূমিকার এ হেন পুনরাবৃত্তি যাতে পুরভোটে না হয় সে দিকে নেতৃত্বকে নজর রাখতে বলেন ওই দলীয় কর্মীরা। যদিও এ দিনের ঘটনায় দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ স্বপনবাবুকে ওই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, “পুলিশের ভরসায় রাজনীতি হয় না। নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখুন।” এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে স্বপনবাবুর সাফাই, “অন্য দলের লোকজন সভায় ঢুকে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছিল। সে জন্য তাঁদের শাসন করতে হল।”

তবে এ দিনের সভায় তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক মণ্ডল আজিজুল উপস্থিত ছিলেন না। পুরভোটের সভায় তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলেও মুখ খুলতে চাননি কেউ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE