জ্যোতিষচর্চার নামে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচ জনকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম যশবন্ত কুমার, চুনীত কুমার, প্রবীণ কুমার, ভিকি কুমার ও রোশন কুমার। যশবন্ত এই চক্রের পাণ্ডা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের বাড়ি বিহারের নালন্দায়। সম্প্রতি তারা বুদবুদের অ্যামুনেশন রোডের নতুনপল্লিতে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন। ধৃতদের সঙ্গে থাকা একটি চার চাকা গাড়িও আটক করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত যশবন্ত কুমার ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ছোট সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে রক্ষা কবচ, আংটি-সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিত। দু’বছর ধরে চলছিল এই ব্যবসা। দিন দশেক আগে তারা বুদবুদে এসে থাকতে শুরু করে। তাদের চালচলনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। পুলিশে খবর যায়। পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সেখানেই উঠে আসে নানা তথ্য। যশবন্তকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, মহারাষ্ট্র, বিহার, উড়িশা, অসম-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সে জ্যোতিষীর পরিচয় দিয়ে ব্যবসা করত। এক একটি সামগ্রীর দাম ছিল এক এক রকম। কোনটির দাম ২,০০০ টাকা। কোনটির আবার ৫,০০০ টাকা। কবচ-আংটিগুলি ডাকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হত। তার সঙ্গে থাকত মানি অর্ডার ফর্ম। আংটি বা কবচের দাম সেই মানি অর্ডার করে পাঠাতে হত। নিয়ম অনুযায়ী ক্রেতাদের প্রথমে মানি অর্ডার ফর্ম পূরণ করতে হত। তারপর তাঁরা খাম হাতে পেতেন। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, প্রথম দিকে খামের সঙ্গে কম দামী আংটি-কবচ পাঠানো হলেও পরে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন মানি অর্ডার ফর্ম ভরে ক্রেতা যে খাম হাতে পেতেন তার ভিতর শুধু কিছু কাগজ থাকত। এই ভাবে প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকা আয় করেছিল তারা। চুনীত, প্রবীণ, ভিকি ও রোশন ছিল যশবন্তের কর্মী। এদের মাস মাইনের ব্যবস্থা ছিল।
সোমবার ধৃতদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক যশবন্তের ৫ দিনের পুলিশ হাজত ও বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যশবন্ত কুমারের বেশ কয়েকটি ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফের ডাকাতি। সপ্তাহ কয়েকের ব্যবধানে ফের ডাকাতির অভিযোগ উঠল রানিগঞ্জে। রবিবার রাতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি পোশাকের দোকানে সাটার ভেঙে ডাকাতেরা ঢোকে বলে অভিযোগ। দোকান মালিক তারকেশ্বর করের দাবি, দুষ্কৃতীরা ক্যাশ বাক্সে রাখা ৭০ হাজার টাকা নিয়ে পালায়। মাস খানেক আগেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের একটি মোবাইল দোকানের সাটার ভেঙে প্রায় সব নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আর এক জায়গায় ভাড়াটিয়ার দোকানের তালা ভেঙে চুরি করানোর অভিযোগ ওঠে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। যদিও এখনও অবধি কোনও দুষ্কৃতী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy