Advertisement
০৭ মে ২০২৪

সিঙ্গুর নিয়ে স্কুলের পরীক্ষায় প্রশ্নে বিতর্ক

সিঙ্গুরেরই মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস পরীক্ষায় এমনই প্রশ্ন আসায় সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে।

এই প্রশ্ন (চিহ্নিত) নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। —নিজস্ব িচত্র

এই প্রশ্ন (চিহ্নিত) নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। —নিজস্ব িচত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪০
Share: Save:

সিঙ্গুরের মাটিতে সর্ষের বীজ কবে ছড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় তা নিয়ে প্রশ্ন এল স্কুলের পরীক্ষায়।

সিঙ্গুরেরই মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস পরীক্ষায় এমনই প্রশ্ন আসায় সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা বিঁধতে শুরু করেছে শাসকদলকে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস সিংহ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’’ সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ওই স্কুলের সভাপতি। তাঁর সঙ্গে অবশ্য যোগাযোগ করা যায়নি।

চলতি মাসের ২ তারিখে ওই পরীক্ষা হয়। পরে ওই প্রশ্নের কথা জানাজানি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে। সিপিএম নেতা সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না, এটা ইতিহাসের প্রশ্ন, নাকি বিদ্রুপের জন্য প্রশ্নটি করা হয়েছে? এই সরকার ইতিহাসের সিলেবাসই বদলে দিয়েছে।’’ রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর কটাক্ষ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল!’’

বিরোধীদের কটাক্ষকে গুরুত্ব দেয়নি তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। কোন পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্নপত্র করা হয়েছিল, তা জানা নেই। তবে এটা বলতে পারি, রাজ্য সরকারের ভাল কাজ বিরোধীরা হজম করতে পারে না।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি এ কথা বললেও, শিক্ষক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সিঙ্গুরেরই একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, ‘‘পাঠ্যসূচিতে গত তিন বছর ধরে সিঙ্গুরের আন্দোলনের বিষয়টি

ঠাঁই পেয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হল কাকে খুশি করতে, সেটাই প্রশ্ন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Singur Mahamaya High School School Exam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE