বিতর্কিত: এই নির্মাণ নিয়েই উঠছে অভিযোগ। —নিজস্ব িচত্র
বহুতল নির্মাণের জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছে এলাকার নিকাশি নালা। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তায়। ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে পুরসভায় চিঠি লিখেছেন স্থানীয়রা। তবে কাজের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এনসি ব্যানার্জি রোডে বেশ কিছুদিন আগে এই নির্মাণ শুরু হয়। অভিযোগ, পুরসভা অনুমোদিত নকশা না মেনেই নির্মাণ হচ্ছে। ফলে একদিকে লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি রাজস্বের ক্ষতি তো হচ্ছেই। পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হয়েছে পুরসভার নিকাশি নালা। বহুতল নির্মাণের কোনও নিয়মই মানছেন না প্রমোটার। নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচলতি মানুষকে। স্থানীয়রা লিখিতভাবে বিষয়টি পুরসভাকে জানান। পুরসভার তরফে নির্মাণকারীকে নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, পুর-প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে ফ্ল্যাটবাড়ির নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নির্মাণকারী। পুরসভাও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রামকৃষ্ণ বর্ধন, রবিন ঘোষরা বলেন, ‘‘আমাদের অভিযোগ পেয়ে পুরসভা নাম-কা-ওয়াস্তে নোটিস দেয়। কিছু হচ্ছে না দেখে তথ্য জানার অধিকার আইনে পুরসভায় আবেদন করি। তাতে জানা যায়, পুরসভা অনুমোদিত নকশা না মেনে নির্মাণ হয়েছে। মোট কতটা পরিমাণ অবৈধ নির্মাণ হয়েছে এবং পুরসভা কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়ে আবার তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করা হয়। সেই প্রশ্নের আজও উত্তর পাওয়া যায়নি।’’ এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে নবান্নে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে তাতেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার বাসুদেব চৌধুরী বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমি পুরসভাকে লিখিতিভাবে জানিয়েছিলাম। পরে স্থানীয় বাসিন্দারাও জানান।’’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ নির্মাণ সর্ম্পকিত দু’টি নোটিশ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট প্রমোটারকে। তাতে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রমোটার নোটিস পাওয়ার পরেও নির্মাণকাজ চালিয়ে যায়। পুরসভার তরফে শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় নির্মাণকারী প্রমোটারের বিরুদ্ধে। পুরপ্রধান অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘অবৈধ নির্মাণের খবর এলে পুরসভার তরফে যা যা করণীয়, সবই করা হয়েছে।’’
সংশ্লিষ্ট প্রমোটার জানান, পুরপ্রধান ও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের কথা মতো খুব শীঘ্রই অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হবে। পুরসভার নিকাশি নালাও করে দেওয়া হবে। তবে তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুর এলাকায় এরকম প্রচুর নির্মাণ হচ্ছে। পুর প্রশাসন দেখছে না। আমার ক্ষেত্রেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। পুরসভা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy