দুর্ভোগ: গরু-ছাগলের চিকিৎসা মিলছে না বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
পর্যাপ্ত ত্রাণ না-পাওয়ার অভিযোগ তো রয়েছেই। তার সঙ্গে এ বার প্লাবিত আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নিজেদের গরু-ছাগলের অসুখের চিকিৎসা না-মেলার অভিযোগও তুলছেন।
গ্রামীণ আরামবাগের বহু মানুষ গো-পালনের সঙ্গে যুক্ত। অনেকে আবার হাঁস-মুরগিও পালন করেন। আট দিন ধরে আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া এবং গোঘাটের নানা গ্রামে জল দাঁড়িয়ে থাকায় গোখাদ্য মিলছে না। জলের মধ্যে থাকায় গরু-মোষের পায়ে ঘা-ও হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় গোচারণ-ভূমির সবুজ ঘাস নেই। খড়ও পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দূষিত জল খেয়ে গরুর পেটের রোগ হচ্ছে। গাছের পাতা খাইয়ে গরুদের খাবার সামাল দেওয়া গেলেও অসুখের চিকিৎসা হচ্ছে না। প্রাণী-চিকিৎসকেরা গ্রামে আসছেন না। খানাকুল-২ ব্লকের বনহিজলি গ্রামের বিভাস দলুইয়ের ক্ষোভ, “একটি গরুর সারাদিনে ১০-১২ কেজি খাবার লাগে। ঘাস-খড় নেই। ত্রাণও মেলেনি। গাছপালার পাতা খাইয়ে কতটা আর সামাল দেওয়া যায়!” মাড়োখানা গ্রামের দিনমজুর ইয়াসিন আলি বলেন, “পেট খারাপ আর পায়ে ঘা হয়ে গরুগুলো ঝিমোচ্ছে। দুধ উৎপাদন বন্ধ বললেই চলে। ডাক্তার আসছেন না।”
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের হুগলি জেলা উপ-অধিকর্তা প্রবীর পাঠক অবশ্য দাবি করেছেন, শুধু আরামবাগ মহকুমার ৫টি ব্লকের জন্য ৫০ টন পশুখাদ্য পাঠানো হয়েছে। গবাদি পশুর জন্য সারা জেলায় স্বাস্থ্য শিবির চলছে। ইতিমধ্যে ৫৯০টি শিবির হয়েছে। কোথাও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তবে, প্লাবনের কারণে গবাদি পশুর যে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না, তা স্বীকার করে নিয়েছেন মহকুমার বিভিন্ন ব্লক প্রাণিসম্পদ দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা। তাঁরা মানছেন, নৌকার অভাবে সব জায়গায় পৌঁছনো যাচ্ছে না। তার উপর দফতরের কর্মীরও ঘাটতি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy