সূচনা: বকপোতায় সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
যে দিকেই চোখ যায় শুধু কালো মাথা। সকলেরই অপেক্ষা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।
জাঙ্গিপাড়া এবং উদয়নারায়ণপুরের সীমানাবর্তী বকপোতা এলাকায় কবে এত জনসমাগম হয়েছিল, তা বলতে পারছিলেন না কেউ। সোমবার দুপুরে দামোদরের উপরে নতুন সেতুর উদ্বোধন দেখার সুযোগ তাই কেউ হারাতে চাননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়্গপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সেতুটির উদ্বোধন করতেই সকলে আনন্দে চিৎকার করে উঠলেন। তারপরে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা এবং জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী ফিতে কেটে সেতুটি চালু করে দিলেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন আমজনতা।
প্রায় ৩২ কোটি টাকা খরচ করে ৪০ ফুটেরও বেশি চওড়া এবং অন্তত ৬০০ ফুট লম্বা সেতুটি তৈরি করেছে পূর্ত দফতর। এই সেতুটির নির্মাণকাজ চলায় প্রায় পাঁচ বছর বিস্তর দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে দুই জেলার বাসিন্দাদের। এখানে সেচ দফতরের যে পুরনো সেতুটি রয়েছে, ২০১৪ সালে তার থাম বসে যায়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ফলে, বিপাকে পড়েন দু’দিকের মানুষ। পরে ওই সেতুটি সাময়িক সংস্কার করা হলেও বড় গাড়ি যাতায়াত করছিল না। এরপরে প্রশাসনিক ভাবে পুরনো সেতুর পাশে নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা হয়।
এ দিন অনুষ্ঠানের জন্য সেতুর হাওড়ার দিকে মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। দু’পারের মানুষজনই সেখানে ভিড় করেন। জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, রাজা উদয়নারায়ণের নামেই নতুন সেতুর নামকরণ হয়েছে। জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তমাল চন্দ্র বলেন,‘‘হুগলির দিক থেকে বহু মানুষ উদয়নারায়ণপুর হাসপাতালে যান। এই সেতু খুলে দেওয়ায় তাঁদের সুবিধা হল।’’
গ্রামবাসীদের মধ্যে জাঙ্গিপাড়ার পাঁচুগোপাল আদক বলেন, ‘‘আমাদের দুই জেলার মানুষের বিশেষ অসুবিধা হচ্ছিল পুরনো সেতুটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকলে চলে? দেরি করে চালু হলেও নতুন সেতুতে আমাদের উপকার হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy